গাজীপুরে দুই কারখানার দুইশ' শ্রমিককে চাকরিতে পুনর্বহাল
প্রকাশ | ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরে আন্দোলন ও বিক্ষোভের মুখে বরখাস্তকৃত শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহাল করেছে এম এম নীটওয়্যার লিমিটেড ও মামুন নীটওয়্যার লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। সার্ভিস বেনিফিট দিয়ে চাকরিচু্যত করা এসব শ্রমিকের কাছ থেকে ওই টাকা ফেরত নিয়ে বৃহস্পতিবার তাদের চাকরিতে যোগদান করানো হয়েছে। তাদের পূর্বের যোগদানের তারিখসহ অন্যান্য বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে। বৃহস্পতিবার গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে ওই দুই কারখানার বরখাস্তকৃত শ্রমিকদের বিষয়ে এমন সিদ্ধান্ত হয়।
কারখানায় বিশৃঙ্খলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে গত ৯ নভেম্বর এম এম নীটওয়্যার লিমিটেড এবং মামুন নীটওয়্যার লিমিটেড ১১৩ জন শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী সব পাওনা পরিশোধ করে চাকরিচু্যত করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। নিয়মিত শ্রমিকরা দুই দিন শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করার পর গত সোমবার থেকে হঠাৎ চাকরিচু্যত শ্রমিকদের চাকরিতে পুনবর্হালের জন্য কর্মবিরতি পালন করেন। তাদের বিক্ষোভ ও আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় দফায় আরও ৭৭ জনকে চাকরিচু্যত করলে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে বুধবার সকালে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা শিল্প পুলিশের এক সদস্য ও কারখানার নিরাপত্তা ইনচার্জসহ বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করেন। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে উঠলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। শ্রমিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কারখানা কর্তৃপক্ষ চাকরিচু্যত শ্রমিকদের সার্ভিস বেনিফিট ফেরত দেওয়ার শর্তে চাকরিতে যোগদানের কথা জানায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেন। যারা সার্ভিস বেনিফিট ফেরত দিয়েছে শুধু তারাই চাকরিতে যোগদান করতে পারবেন। আর যারা সার্ভিস বেনিফিট ফেরত দেননি তাদের বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এম এম নিটওয়্যার লিমিটেডের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, 'চাকরিচু্যত শ্রমিকদের মধ্যে যারা সার্ভিস বেনিফিট ফেরত দিয়েছেন শুধু তারা কাজে যোগ দিয়েছেন। যারা সার্ভিস বেনিফিট ফেরত দেননি তারা কাজে যোগদান করেননি।' প্রসঙ্গত, ৩ নভেম্বর হাজিরা বোনাস, নাইট বিল, টিফিন বিলসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে কারখানার অভ্যন্তরে অবস্থান নেন। এ সময় শিল্প পুলিশ ও কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিক
ে
দর বুঝিয়েও কাজে ফেরাতে পারেনি। পরে কারখানার নিরাপত্তার স্বার্থে কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। পরে বিশৃঙ্খলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে দুই দফায় প্রায় দুইশ' শ্রমিককে চাকরিচু্যত করা হয়।