ডুমুরিয়ায় পানি নিষ্কাশনে বরাদ্দ ১০ পাম্পের মধ্যে ৭টি চালু

প্রকাশ | ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০

ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি
খুলনার ডুমুরিয়ায় জলাবদ্ধতা নিরসনে দীর্ঘ কালক্ষেপণের পর ১০টি সেচ যন্ত্রের মধ্যে ৭টি চালু হয়েছে। বিল সিংগায় চারটি, নরনিয়ায় দুটি ও ষষ্ঠীতলায় একটি সেচ পাম্প চালু করা হয়। এছাড়া ডিমান্ডনোটের জটিলতায় বিদু্যৎ সংযোগ পায়নি গোলনা দুটি ও বিলতাওয়ালিয়ার একটি পাম্পে। জানা যায়, আকাশ বন্যা এবং পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা না থাকার কারণে ইতিমধ্যে জলাবদ্ধতার দুই মাস পার হলো ডুমুরিয়াবাসীর। গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিতে বিলডাকাতিয়াসহ ডুমুরিয়া উপজেলার রংপুর, ডুমুরিয়া, গুটুদিয়া, রঘুনাথপুর, রুদাঘরা, খর্ণিয়া, আটলিয়া ইউনিয়নের অন্তত ২৫টি গ্রামের প্রায় এক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এখনো অধিকাংশ বসতবাড়িতে পানি রয়েছে। পস্নাবিত হয়ে ৫শ' কোটি টাকার ফসল নষ্টসহ ২৭টি বিলের কয়েক হাজার ঘেরের মাছ ভেসে যায়। এসব অঞ্চল মিলে প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমি রয়েছে। তার মধ্যে কৃষি জমি রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর। এসব জমিতে ব্যাপকভাবে বোরো উৎপাদন হয়। যার প্রেক্ষিতে বোরো উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে কয়েকটি বদ্ধ বিলের পানি নিষ্কাশনের জন্য বিএডিসি ১০টি সেচযন্ত্র বরাদ্দ দেয় দেড় মাস আগে। কিন্তু বিদু্যতের রেট নিয়ে দরকষাকষিতে দীর্ঘকালক্ষেপণের একপর্যায়ে জলাবদ্ধের দুই মাস পর ১০টি সেচ যন্ত্রের মধ্যে ৭টি চালু হয়। এছাড়া গোলনা ও বিলতাওয়ালিয়ায় বিদু্যৎ সংযোগ না পাওয়ায় চালু হয়নি ৩টি পাম্প। এ পর্যন্ত দুই মাস ধরে ১ ফুট পানি নিষ্কাশন হয়েছে। পলি পড়ে অকেজো হয়ে পড়া শোলমারী ১০ ভেন্ট রেগুলেটরে এখন অনেকটা স্রোতের গতি বেড়েছে। গত পরশু থেকে দিনে এক ইঞ্চি করে পানি কমতে শুরু করেছে। গুটুদিয়া গ্রামের কৃষক লোকেশ্বর ফৌজদার জানান, 'বিলের পানি অনেকটা কমে গেছে। এর আগে এক ইঞ্চি পানি সরতে ৩-৪ দিন লেগেছে। গত দুই দিন দেখছি, দিনে এক ইঞ্চি করে পানি কমে যাচ্ছে।' ঘোষড়া এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য এনামুল হোসেন জানান, 'আমাদের এলাকা ঘোষড়া ও বাদুড়িয়া গ্রামসহ রাস্তা সম্পূর্ণ পানিতে তলিয়ে ছিল। এখন একটু জেগেছে। তবুও অনেক বাড়িতে পানি থইথই করছে। আমরা এবার জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী সমাধান চাই।' খুলনা পলস্নী বিদু্যৎ সমিতির ডুমুরিয়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী কাজী রমজান আলী জানান, ১০টা পাম্পের ৭টি চালু হয়েছে। গোলনা পয়েন্টে চালু হয়নি শুধুমাত্র ডিমান্ডনোট জটিলতায়। বিএডিসি কর্তৃপক্ষ ডিমান্ড নোট দিতে চাইলেও এখনো তা দেয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আল-আমিন জানান, 'পানি অনেকটা কমে গেছে। আশাকরি আর কিছুদিনের মধ্যে কৃষকরা মাঠে যাওয়া শুরু করবে। আগামীতে যাতে আর পানি না জমে সে বিষয়ে সবাইকে নিয়ে কর্মপরিকল্পনা করব।'