নওগাঁর আত্রাইয়ে খালের উপর একটি ব্রিজের অভাবে হাজার হাজার বিঘা জমির ধান ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। খালে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি থাকায় এবং বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় এ ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় তারা।
জানা যায়, উপজেলার শাহাগোলা গ্রামের পূর্ব মাঠজুড়ে চাষ করা হয়েছে আমন ধান। ধানের ফলনও হয়েছে বাম্পার। আর মাত্র ১৫-২০ দিন পরই শুরু হবে ধান কাটা মাড়াই। ওই গ্রামের শতাধিক কৃষকের সহস্রাধিক বিঘা জমিতে তারা চাষ করেছেন আমন ধান। চিনি আতপ, জিরাশাইল, কাটারিভোগসহ বিভিন্ন জাতের ধান রয়েছে এ মাঠে। বিশাল মাঠজুড়ে ধানগুলো রঙিন রূপ ধারণ করেছে। কৃষকদের মুখে ফুটে উঠেছে হাসি। কিন্তু এ ধান কেটে ঘরে তোলা নিয়ে তারা পড়েছেন চরম বিপাকে। উপজেলার মির্জাপুর ছোট যমুনা নদী থেকে রতনডারা নামে ঐতিহ্যবাহী একটি খাল বয়ে গেছে শাহাগোলা গ্রাম আর মাঠের মধ্য দিয়ে। এ খালের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গ্রাম আর মাঠের যোগাযোগ। ফলে মাঠ থেকে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক।
শাহাগোলা গ্রামের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, কৃষক আজাদ সরদার, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান লিটনসহ অনেকে বলেন, 'আমরা কৃষিনির্ভর মানুষ। বছরের দুই মৌসুমে বোরোইরি ও আমন ধান আমাদের প্রধান আবাদ। আমাদের এ মাঠে হাজার হাজার বিঘা জমিতে বোরো ও আমন ধানের চাষ হয়। মাঠের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের উপর একটি ব্রিজ না থাকায় প্রতি বছরই ধান ঘরে তোলা নিয়ে আমাদের বিপাকে পড়তে হয়। একটি ব্রিজের অভাবে দ্বিগুণ শ্রমিক মূল্য দিয়ে ঘরে ধান আনি। এবারও ধান ঘরে তোলা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছি।'
তারা আরও বলেন, 'অতীতে অনেক জনপ্রতিনিধি প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছেন। কিন্তু কেউ কাজ করেননি।'
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'আমাদের ব্রিজগুলো সাধারণত দুই রাস্তার সংযোগের জন্য নির্মাণ করা হয়। তার পরেও গ্রামবাসী কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলে আমরা এখানে একটি ব্রিজ তৈরির উদ্যোগ নিতে পারি।'