কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম, আওয়ামী লীগের জ্যৈষ্ঠ অনেক নেতাসহ ১৩৭ জনের নাম উলেস্নখ এবং অজ্ঞাত ১৫০ জনসহ ২৮৭ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা রুজু করা হয়েছে থানায়। বৃহস্পতিবার মামলাটি রুজু করেন পৌরসভার নিজপানখালী গ্রামের সিরাজ আহমদের ছেলে আমির আলী।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার পালাকাটা রাস্তার মাথা নামক স্থানে গত ৩ নভেম্বর রাতে যানবাহনে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি রুজু হয়।
মামলায় সাবেক এমপি জাফর আলম ছাড়াও আসামি করা হয়েছে দলের সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীরসহ দলের জেলা, উপজেলা, পৌরসভা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ, আওয়ামী লীগ সমর্থিত বর্তমান ও সাবেক সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ১৩৭ জনকে।
এদিকে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হত্যা, নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১২টি মামলা রুজু করা হয় সাবেক এমপি জাফর আলমের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া জানান, গত ৩ নভেম্বর মহাসড়কে নাশকতা, অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকান্ডের অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে এ মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি জানান, বগুড়ার ধুনটে ২০২২ সালে বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকনসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৬১ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ধুনট পৌর এলাকার পশ্চিমভরনশাহী গ্রামের বিএনপি নেতা আব্দুল খালেক মন্ডলের ছেলে যুবদল নেতা এমদাদুল হক রনি বাদী হয়ে ধুনট থানায় মামলাটি করেন।
এদিকে মামলার পর ওই রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত ৩১নং আসামি আওয়ামী লীগ কর্মী বেলাল হোসেন মেম্বারকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে। বেলাল কালেরপাড়া ইউনিয়নের আড়কাটিয়া গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে। বুধবার তাকে বগুড়ার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, মামলার পর এজাহারভুক্ত একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।