মেহেরপুরে আগাম শীতকালীন টমেটো চাষে বাজিমাত

প্রকাশ | ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০

গোলাম মোস্তফা, মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুরে টমেটো ক্ষেত পরিচর্যা করছেন চাষী -যাযাদি
মেহেরপুরে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় আগাম শীতকালীন টমেটোর চাষ করে বাজিমাত করছেন চাষিরা। গেল বছর বিঘাপ্রতি ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা খরচ করে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা ঘরে তুলেছে কৃষক। এ বছরও টমেটোর গাছ ও ফলন ভালো হয়েছে। বাজার দরও ভালো। বর্তমান বাজার দর অব্যাহত থাকলে গেল বছরের মতো এ বছরও ভালো লাভের আশা করছেন চাষিরা। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় নিরাপদ সবজি উৎপাদন ও সুষম সার ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তির মাধ্যমে মালচিং পদ্ধতি ও এ (অ) প্যাটার্ন মাচার মাধ্যমে আগাম শীতকালীন টমেটো চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন মেহেরপুরের চাষিরা। মেহেরপুরের মাটি উঁচু ভূমি হওয়া জলাবদ্ধাতার সৃষ্টি হয় না। গরম ও অতিবৃষ্টির কারণে প্রথম দিকে গাছের বৃদ্ধি কম হলেও এখন অনুকূল আবহওয়ায় গাছ ও টমেটোর ফলন ভালো হচ্ছে। কৃষকরা মাঠ থেকে টমেটো উঠিয়ে বাজারজাত করা শুরু করেছে। কাঁচা টমেটো পাইকারি একশ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে চাহিদাও ভালো। গেল বছর এই টমেটো ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলেও এ বছর আরও বেশি দাম পাচ্ছে চাষিরা। বিঘাপ্রতি টমেটো চাষে কৃষকের খরচ হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা। এই জমি থেকে অন্তত সাড়ে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার টমেটো বিক্রির আশা তাদের। জেলায় এবার প্রায় দেড়শ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন টমেটোর চাষ হয়েছে। চাষিরা জানান, আগের তুলনায় টামেটো চাষে খরচ বাড়লেও মালচিং পদ্ধতি, সুষম সার ব্যবস্থাপনা, এ (অ) প্যাটার্ন মাচায় চাষ করে দুই থেকে তিনগুণ লাভ হচ্ছে। যার কারণে প্রতি বছর নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তা টমেটো চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, আগাম শীতকালীন টমেটো বাজারে ওঠা শুরু হয়েছে। কৃষকরা কৃষি বিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধমে সর্বোচ্চ ফলন নিশ্চিত করছে। ফলে ভালো লাভ হওয়ায় অন্য কৃষকরাও টমেটো চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।