রংপুরে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাট্রিজের (বিসিআইসি) বাফার গুদামে দীর্ঘ ২ বছর ধরে প্রায় ১ হাজার একশ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এই সারের বস্তাগুলো স্থান পায়নি রেজিস্টার বইয়ে। মেসার্স নুর ট্রেডিং কোম্পানি নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেগুলো সরবরাহ করেছিল। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই সার ডিলারদের মধ্যে বিতরণ করা হবে না বলে জানিয়েছে বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ।
রংপুর বাফার গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফয়সল আহম্মেদ জানান, মেসার্স নুর ট্রেডিং কোম্পানি নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রংপুরে ছেঁড়া-ফাটা, শক্ত জমাটবাঁধা, কম ওজনের ও ভেজাল ইউরিয়া সার সরবরাহ করেছিল। বিসিআইসির নির্দেশে ওইসব সারের বস্তা রংপুরের বাফার গুদাম তা গ্রহণ করেনি। তা ছিল রেজিস্টার বহির্ভূত ইউরিয়া সার। তবে '২২ সালে ওই সার ক্রাশিং করে বাফার গুদামে রাখা হয়।
এদিকে, ছেঁড়া-ফাটা, শক্ত জমাটবাঁধা, কম ওজনের ও ভেজাল ইউরিয়া সার সরবরাহ করার কারণে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিসিআইসি কর্তৃক একটি মামলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রংপুরের বাফার গুদামের ধারণ ক্ষমতা ৫ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমানে তার দ্বিগুণ গুদামে ইউরিয়া সার সংরক্ষিত আছে। জেলায় ১০৬ জন ডিলারের মাঝে নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ মাসে পিক আওয়ারে আনুমানিক ৪৫ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার সরবরাহ করা হবে।
বিসিআইসি উত্তারাঞ্চলীয় ম্যানেজার মো. মোস্তফা কামাল জানান, মামলার কারণে ইউরিয়া সারের বস্তাগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকলেও সারের গুণগতমান নষ্ট হবে না বলে তিনি জানান।