অনেক বছর ধরেই স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নে লাটু বেপারী ও নিজাম আকন গ্রম্নপের সঙ্গে স্থানীয় কাশেম তালুকদার গ্রম্নপের বিরোধ চলে আসছিল। ওই সংঘর্ষে অংশ নিতে যাওয়া ১০টি ব্যাগ ভর্তি ককটেল পার্শ্ববর্তী শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার উত্তর আকালবরিশ গ্রামে ফেলে পালিয়ে যায় কাশেম গ্রম্নপের লোকজন বলে দাবি করেছেন কালকিনি উপজেলার শিকার মঙ্গল ইউনিয়নের মৃধাকান্দি গ্রামের আনছার হাওলাদার। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর পক্ষে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট উপদেষ্টা বরাবরে একটি অভিযোগ করেছেন আনছার।
অভিযোগকারী আনছার হাওলাদার জানান, কাশেম হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর, বাঁশগাড়ী ও শিকার মঙ্গল ইউনিয়নের একটি অংশে লুটপাট, চাঁদাবাজিসহ একটি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। এসব কাজে লাটু বেপারী ও নিজাম আকন বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে কাশেম তালুকদার। সে সহযোগী রহমান হাওলাদার ও আপান কাজীকে নিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে চায়। তাই কাশেম হাওলাদার, রহমান হাওলাদার ও আপান কাজীর নেতৃত্বে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা গত রোববার লাটু বেপারী ও নিজাম আকনের বাড়িতে হামলা করতে চায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে জনগণের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় লাটু বেপারী ও নিজাম আকনের বাড়িতে নিক্ষেপের উদ্দেশে আনা ১০ ব্যাগ ককটেল বোমা পার্শ্ববর্তী শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যার উত্তর আকালবরিশ গ্রামের সড়কের পাশে ফেলে যায়।
অভিযোগকারী আনছার হাওলাদার বলেন, 'আমরা কাশেম তালুকদার বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে চাই। এদের জ্বালায় পূর্ব এনায়েতনগর, বাঁশগাড়ী ও শিকার মঙ্গল ইউনিয়নের একটি অংশের মানুষ অতিষ্ঠ। তারা ওই লাটু বেপারী ও নিজাম আকনকে হামলা করতে গিয়ে জনগণের ধাওয়া খেয়ে অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ ও বোমা নিয়ে পালিয়েছে। শুনেছি পালিয়ে যাওয়ার সময় এসব অস্ত্রশস্ত্র ডামুড্যার উত্তর আকালবরিশ গ্রামের রাস্তার পাশে ফেলে গেছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।'
এদিকে, সোমবার সকালে ডামুড্যা উপজেলার উত্তর আকাল বরিশ গ্রামের সড়কের পাশে ১০টি হাতব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। এ সময় একটি ব্যাগের ভেতরে বেশ কিছু বোমাসদৃশ্য বস্তু দেখা গেলে পুলিশে খবর দেন তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। ঢাকা থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল এসে ককটেল নিষ্ক্রিয় করে।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান বলেন, ১০টি ব্যাগ ভর্তি বোমাসাদৃশ্য বস্তু পাওয়া গেছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী আসে। পরে ঢাকা থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল এসে ককটেল নিষ্ক্রিয় করে।