নওগাঁর আত্রাইয়ে খেজুর রসের লালি ও গুড় তৈরি শুরু করেছেন গাছিরা। শীতের আমেজের সঙ্গে খেজুরের লালি ও গুড়ের কদর বেড়ে যায়। তাই শীতের শুরু থেকেই গাছিরা প্রস্তুত করতে শুরু করেছেন খেজুর রসের লালি ও গুড়।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার শাহাগোলা গ্রামের পূর্বমাঠ সংলগ্ন স্থানে বেশকিছু খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ শুরু করেছেন গাছিরা। এক সময় এলাকার লোকজনই খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করলেও এখন এসব গাছ চুক্তি ভিত্তিতে দেওয়া হয় অন্য এলাকার গাছিদের।
শাহাগোলা গ্রামের প্রায় দুশ' খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার পান্নাপাড়া সোনাদহ গ্রামের জাহিদ হোসেন (৫৬), লিটন (৪০) ও বিলুল (৪৫)। গাছি জাহিদ দৈনিক যায়যায়দিন প্রতিবেদককে জানান, তাদের এলাকার অনেক গাছি শীত মৌসুমে এ এলাকায় খেজুর রস সংগ্রহের জন্য এসে থাকেন।
এবারও অনেকেই এসেছেন। তারা তিনজন শাহাগোলা গ্রামের খেজুর গাছ চুক্তিভিত্তিক মালিকের কাছ থেকে নিয়েছেন। প্রতিদিন প্রায় দুশ' খেজুর গাছ থেকে ৬-৭ মণ রস নামে। এ রস জাল করলে প্রায় দেড়মণ গুড় হয়। গুড়গুলো নওগাঁসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজারে বিক্রি করে যে অর্থ আসে তাতে তারা খুশি।
শীত মৌসুমের শুরুর দিক নভেম্বর মাস থেকে মার্চ এপ্রিল ৫ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত রস সংগ্র করা যায়। আর এ রস জাল করে লালি বা গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রির অর্থ দিয়ে প্রায় সারাবছর পরিবার-পরিজন নিয়ে জিবিকা নির্বাহ করেন তারা।
শাগাগোলা গ্রামের আব্দুর রহমান লিটন বলেন, 'আমরা ছোটবেলায় দেখেছি আমাদের এলাকার গাছিরা খেজুর রস সংগ্রহ করে বাজারে রস বিক্রি করতেন। এখন কালের বিবর্তে এলাকার গাছিরা আর খেজুর রস সংগ্রহ করে না। গাছগুলো বছরের পর বছর পরিত্যক্ত থাকত। গত কয়েক বছর থেকে অন্য এলাকার গাছিদের কাছে আমরা চুক্তিভিত্তিক গাছগুলো দিয়ে দিচ্ছি। এতে গাছগুলোরও পরিচর্যা হচ্ছে আবার বাড়তি অর্থও আমরা পাচ্ছি।'