বরগুনার পাথরঘাটায় উপকূল দিবস পালিত হয়েছে। পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের আয়োজনে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় একটি শোভা যাত্রা পৌর শহরের গোল চত্বর থেকে শুরু করে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ চত্বরে শেষ হয়। পরে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ চত্বরের মুক্তমঞ্চে ৭০-এর প্রাণহানিদের রুহের মাগফিরাতে দোয়া মোনাজাত করা হয়। এর আগে মুক্তমঞ্চে অবস্থিত সিডরে নিহত এবং ১৯৯৩ সাল থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সাগরে নিখোঁজ জেলেদের স্মরণে স্মৃতি ফলকের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।
সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টুর সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনায় বরগুনার পাথরঘাটায় এ দিবসটি আয়োজন করেন পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন। বক্তব্য রাখেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খান, পাথরঘাটা প্রেস ক্লাবের সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী, সাবেক সভাপতি মির্জা শহীদুল ইসলাম খালেদ, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক, মেহেদী শিকদার প্রমুখ। স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন।
বক্তারা '৭০ সালের বন্যার স্মৃতিচারণ করেন এবং এ দিনটি উপকূল দিবস হিসেবে স্মৃতির দাবি করেন। এ ছাড়া পাথরঘাটাসহ উপকূলে জেলেদের নিরাপত্তা, পুনর্বাসন, নিখোঁজ জেলেদের আইনগত স্বীকৃতি দেওয়ারও দাবি জানানো হয়।
উলেস্নখ্য, ১৯৭০ সালরে ১২ নভম্বের তৎকালীন পূর্ব পাকস্তিানের (বর্তমান বাংলাদশের) দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়। এ পর্যন্ত রেকর্ডকৃত ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ এবং এটি সর্বকালের সবচেয়ে ভয়ংকরতম প্রাকৃতকি দুর্যোগের একটি। এ ঝড়ের কারণে প্রায় ১০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। এটি ১৯৭০-এর উত্তর ভারতীয় ঘূর্ণিঝড় মৌসুমের ষষ্ঠ ঘূর্ণিঝড় এবং মৌসুমের সবচেয়ে শক্তশিালী ঘূর্ণিঝড় ছিল। এটি সিম্পসন স্কেলে 'ক্যাটাগরি ৩' মাত্রার ঘূর্ণিঝড় ছিল।