জুলাই-আগস্ট বিপস্নবে আহতদের চিকিৎসা সেবাদানকারী চিকিৎসকদের প্রতি পুনরায় বৈষম্যমূলক আচরণ ও শাস্তিমূলক বদলির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ ও মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালাম।
ড্যাব নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, দেশের মানুষের ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর অবর্ণনীয় অত্যাচার, নির্যাতন ও জুলুমের স্টিমরোলার চালিয়েছিল স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা। ফলে স্বৈরাচারী হাসিনার বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে এদেশের ছাত্র-জনতা, সংঘটিত হয় বিপস্নব। বিপস্নব চলাকালে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার ওপর আগ্রাসী হয়ে সরকার রক্তের হোলি খেলায় মত্ত হয়। প্রায় ২ হাজার ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্টের হাতে নিহত হন, আহত হন অর্ধ লক্ষাধিক। বিপুলসংখ্যক আহত ছাত্র-জনতাকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে বৈষম্যের শিকার হওয়া চিকিৎসকরা। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসাসেবা দানকারী ডা. মো. জাভেদ হোসেনকে গত ১০ নভেম্বর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। আমরা এই বৈষম্যমূলক ও শাস্তিমূলক বদলির অর্ডার অবিলম্বে বাতিল করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইতোপূর্বে স্বৈরাচারের দোসর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি ডা. রোবেদ আমীনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ডা. মো. ফারুক হোসেন, ডা. মো. মাহবুব আরেফীন রেজানুর, ডা. আশরাফীসহ ৪ চিকিৎসককে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছিল যা বৈমষ্যবিরোধী আন্দোলনের মূলমন্ত্রের পরিপন্থী। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ওই ৪ চিকিৎসকের শাস্তিমূলক বদলির আদেশ বাতিলের আশ্বাস দিলেও তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
ড্যাব নেতা দু'জন বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর বৈষম্যের শিকার হওয়া ডা. মো. জাভেদ হোসেনসহ চিকিৎসকদের বৈষম্যমূলক বদলির আদেশ আগামী ৭ দিনের মধ্যে বাতিল করে তাদের কাঙ্ক্ষিত কর্মস্থলে পদায়ন করতে হবে। এছাড়াও স্বৈরাচারের দোসর যাদের পদায়ন করা হয়েছে তাদের পদায়ন বাতিল করে জুলাই বিপস্নবের গণহত্যায় মদদদাতা হিসেবে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এর অন্যথা হলে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ড্যাব কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি