নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের আবদুল্যাপুর গ্রামে চাচিকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোরের ফাঁসির দাবিতে মানবববন্ধন, বিক্ষোভ-সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
সোমবার নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে আবদুল্যাপুর ছাত্র ও যুব সমাজের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ-সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশে বক্তারা বলেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের আবদুল্যাপুর গ্রামে নিহত তাজ নাহার বেগম সম্পর্কে অভিযুক্ত ইমরান খান আকাশ ওরফে রাহুলের (১৯) চাচি হন। মাদকাসক্ত রাহুল প্রায় সময় চাচিকে উত্ত্যক্ত করতেন। গত ৩০ অক্টোবর রাতে রাহুল সহযোগীদের নিয়ে তাজ নাহারকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে ওই নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, একটি মহল অভিযুক্ত রাহুলকে অপ্রাপ্তবয়স্ক সাজানোর চেষ্টা করে আসছে এবং মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নিহত তাজ নাহারের মেয়েদের চাপ দিয়ে আসছে। স্থানীয় ছাত্র-জনতা অভিযুক্তের ফাঁসি ও সহযোগীদের গ্রেপ্তারপূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
পরে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবে সাংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন নিহত তাজ নাহার বেগমের মেয়ে ইসরাত জাহান ইসু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোবিপ্রবির সমন্বয়ক হাসিব আহমেদ আসিফ, জেলা সমন্বয়ক ফরহাদুল ইসলাম ও নোয়াখালী সরকারি কলেজের ছাত্র আক্তারুজ্জামান তারেকসহ অনেকে।