পঞ্চগড়ের বোদায় যুবদলের কর্মী সভায় তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ছাত্রদল ও যুবদলে তিনজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তাদের বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর মাঠের পাশ থেকে অবিস্ফোরিত চারটি ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বোদা থানায় মামলার পর পুলিশ উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল হাসান হিরু (৪০) ও পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য জুয়েল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে। গত সোমবার রাতে উপজেলার বেংহারি বনগ্রাম ইউনিয়নের মানিকপীর বেংহারী ফাজিল মাদরাসা মাঠে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, উপজেলার ওই মাদ্রাসা মাঠে যুবদলের কর্মীসভা চলছিল। রাতে মাদ্রাসা অধ্যক্ষের কক্ষের পাশে টিনের বেড়ার পেছন থেকে কে বা কারা কর্মীসভা লক্ষ্য করে তিনটা ককটেল নিক্ষেপ করে। তবে ককটেল তিনটি গাছে লেগে সেখানেই বিস্ফোরিত হয়। এ সময় বেংহারী বনগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সোহাগ হোসেন (২০), ইউনিয়ন যুবদলকর্মী জাহাঙ্গীর আলম (৩২) ও বাবু (৩৫) আহত হন। পরে তাদের বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ভর্তি করা হয়। সোমবার রাতেই বেংহারী বনগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সোহাগ হোসেন বাদী হয়ে বোদা থানায় বিস্ফোরক আইনে ৮৪ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরও ২শ' থেকে ২৫০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিম উদ্দিন বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ৮৪ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ২শ' থেকে ২৫০ জনের বিরদ্ধে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।