রোববার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১

কলা বিক্রি করে সংসার চালান সাফজয়ী দলের গোলরক্ষক মিলির বাবা

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের গোলরক্ষক ও ময়মনসিংহের নান্দাইলের মিলি আক্তারের বাবা কলা বিক্রেতা হতদরিদ্র সামছুল হক -যাযাদি

সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের গোলরক্ষক মিলি আক্তারের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের বারই গ্রামে। তার বাবা কলা বিক্রেতা হতদরিদ্র সামছুল হক। বাংলাদেশের নারীরা সাফ চ্যাম্পিয়ন শিপের শিরোপা অর্জন করায় বাবা সামছুল হক ও মা আনোয়ারা বেগমসহ এলাকার মানুষ খুবই খুশি।

জানা যায়, গত বুধবার নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হন বাংলাদেশের নারীরা। টুর্নামেন্টে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের বারই গ্রামের হতদরিদ্র সামছুল হকের মেয়ে মিলি আক্তার। শনিবার মিলির গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে মা আনোয়ারা বেগম সরকারের দেওয়া আশ্রয়ণের ঘরটি পরিষ্কার করছেন। গত দুই দিনে গ্রামের মানুষকে তার মেয়ের খুশির খবরটি দিয়েছেন। মিলির খবরে প্রতিবেশীরাও বেজায় খুশি।

বাবা সামছুল হক বলেন, 'গত বৃহস্পতিবার বিকালে মোবাইলে ছেঁড়িড়া ফোন দেয়। কিছু জিগানোর আগেই হে খুশিতে কয় আব্বা তোমার দোয়া কামে লাগজে। আমরা জিতছি।'

মা আনোয়ারা বেগম জানান, তার চার মেয়ে ও দুই ছেলে। নিজেদের জমি বলতে কিছুই নেই। সরকারের দেওয়া ঘরে বসবাস করেন। স্থানীয় বাজারে কলা বিক্রি করে তিনি সংসার চালান। তিন মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন। আর মিলিকে নিয়েই থাকেন। অনেক কষ্ট করে মিলিকে লালন-পালন করেছেন। এলাকার একজনের কাছে তার মেয়ে ফুটবল খেলা শিখেছে। ছোটবেলা থেকেই ফুটবল খেলার নেশা ছিল। বর্তমানে মিলি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নারী দলে খেলছেন। সেখান থেকেই মিলি জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন।

মিলির স্থানীয় কোচ দোলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল জানান, স্কুলপর্যায়ে খেলায় তিনি মিলির খেলা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। এর পরই তিনি তাকে দলে টেনে নেন। নিজের মতো করে প্রশিক্ষণ দেন। তার প্রতিভা দেখে অনেকেই প্রশংসা করেন। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সুযোগ পেয়েই মিলি বাজিমাত করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে