শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১

কিশোরগঞ্জে শিশুযত্ন ও সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সুফলভোগ করছেন গ্রামবাসী

কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি
  ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
কিশোরগঞ্জে শিশুযত্ন ও সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সুফলভোগ করছেন গ্রামবাসী

শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ, শিক্ষা ও যত্ন প্রদান নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সার্বিক বিকাশ, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা এবং মৃতু্যঝুঁকি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে লোকাল আইডিয়া ফর অ্যামপাওয়ারমেন্ট (লাইফ) নীলফামারী জেলার প্রকল্পভুক্ত কিশোরগঞ্জ উপজেলায় স্থাপিত শিশুযত্ন কেন্দ্র ও সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সুফলভোগ করছেন গ্রামের মানুষ।

জানা গেছে, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশুযত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং সাঁতার সুবিধা প্রদান (আইসিবিসি) প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ১৮০টি শিশুযত্ন কেন্দ্রে এবং ১২টি সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। এসব শিশুযত্ন কেন্দ্রে একজন করে শিশু যত্নকারী (কেয়ার গিভার) ও একজন সহকারী শিশু যত্নকারীসহ ৩৮০ জন নারী ও ১৬ জন সুপারভাইজার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও সাঁতার শেখানোর জন্য ৩ জন সুপারভাইজার ও ৩৪ জন স্থানীয় প্রশিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে ২৫ জন শিশু ভর্তি করা হয়েছে। সমাজভিত্তিক শিশু যত্নকেন্দ্র স্থাপন ও শিশুদের সাঁতার শেখানোসহ অভিভাবকদের সচেতন করা হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে, যা শিশুদের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আবেগিক বিকাশে পাশাপাশি নারী ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

উত্তর দুরাকুটি গ্রামের আবু তালহা মা নূরবানু বেগম বলেন, 'গ্রামে যত্নকেন্দ্র হওয়ায় আমাদের গ্রামের অনেক উপকার হয়েছে। আমরা বিশেষ করে মহিলারা শিশুদের যত্নকেন্দ্রে বাচ্চাদের রেখে সংসারের কাজ করতে পারি। যত্নকারী আমার শিশুকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দেখভালের পাশাপাশি অনেক কিছু শেখায়। এতে করে একদিকে যেমন আমরা অন্য কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি, অন্যদিকে সন্তানদের মানসিক বিকাশ হচ্ছে। প্রতিটি গ্রামে এ রকম শিশুযত্ন কেন্দ্র থাকা দরকার।'

শিশু যত্নকারী লাইলী আক্তার জানান, 'যে শিশুগুলো এখনো স্কুলে যাওয়ার বয়স হয়নি সাধারণত সেসব শিশুকে শিশুযত্ন কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। কেন্দ্রে থাকার সময় শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশের সহায়ক নানা শিক্ষা ও বিনোদনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে।

উপজেলা সুপারভাইজার নিপেন চন্দ্র বলেন, 'আমাদের এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ সঠিকভাবে যাতে হয়, সেদিকে আমাদের নজর থাকবে। প্রারম্ভিক বিকাশ সঠিকভাবে হলে ওই শিশুরা সুস্থ ও ভালো মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে। পাশাপাশি স্কুলপড়ুয়া শিশুদের সাঁতার শেখা, যাতে পানিতে ডুবে কোনো শিশুর মৃতু্য না হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে