দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে মিরসরাই সদরে 'কৃষকের বাজার'
প্রকাশ | ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
দিন যত অতিবাহিত হচ্ছে, ততই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম হু হু করে বাড়ছে। সাধারণ মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার নাগালের বাইরে চলে গেছে জিনিসপত্রের দাম। আর এমন পরিস্থিতির জন্য দায়ী মধ্যস্বত্বভোগীদের সিন্ডিকেট। আর এমন সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে বেশ কিছু জনবান্ধব কর্মসূচি হাতে নিয়েছে মিরসরাই উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার মিরসরাই পোস্ট অফিস সংলগ্ন সবজির পসরা সেজে বসেছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে 'কৃষকের বাজার'। এ ছাড়া পাশেই বসেছে ন্যায্যমূল্যে ডিম বিক্রির স্টল। কৃষকের বাজার উদ্বোধন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাকিরুল ফরিদ, কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায়, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম ফজলুল হক, উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির কবির খাঁন, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কেএম সাঈদ মাহমুদ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহ আলম প্রমুখ।
এর আগে গত মঙ্গলবার বারইয়ারহাট ট্রাফিক মোড় চত্বরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শুরু হয় ন্যায্যমূল্যে ডিম বিক্রি। পরদিন মিরসরাই পৌর সদরের ফুটওভারব্রিজ এলাকায় ন্যায্যমূল্যে ডিম বিক্রির আয়োজন করা হয়। ন্যায্যমূল্যে কৃষকদের পণ্য বিক্রি ও ক্রেতাদের কিনতে পারার লক্ষ্যে গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস ও বারইয়ারহাট পৌরসভার সহযোগিতায় বারইয়ারহাট ট্রাফিক মোড় চত্বরে যাত্রা শুরু করে 'কৃষকের বাজার'।
এ ছাড়া দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে মিরসরাই উপজেলাব্যাপী বিভিন্ন বাজারে চলছে বাজার মনিটরিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চলছে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা। যেখানে প্রতিনিয়ত বেশিদামে পণ্য বিক্রি, মূল্য তালিকা সংরক্ষণ না করাসহ বিভিন্ন অপরাধে অর্থদন্ড দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, 'সরকার কর্তৃক গৃহীত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর পদক্ষেপ হিসেবে 'কৃষকের বাজার' চালু করা হয়েছে। এই বাজারে কৃষকরা সরাসরি তাদের উৎপাদিত পণ্য কোনো মধ্যস্বত্বভোগীর সহায়তা ছাড়াই বিক্রি করতে পারবেন। প্রতিটি পণ্যের মূল্য আমরা এমনভাবে নির্ধারণ করেছি, যাতে কৃষকও লাভবান হয়, ক্রেতারাও অপেক্ষাকৃত স্বল্পমূল্যে সবজি ক্রয় করতে পারেন।'