২৮ অক্টোবর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের ৫৩তম শাহাদতবার্ষিকী। এবার একেবারেই ঘরোয়াভাবে দিনটি পালন করা হয়েছে। উপজেলা বা জেলা প্রশাসন থেকে কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়নি। দিনটি উপলক্ষে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় বীরশ্রেষ্ঠের গ্রাম খোর্দ্দ খালিশপুরে নিজ নামে স্থাপিত কলেজে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হামিদুর রহমান ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল আব্দুল হান্নান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- প্রফেসার রফি উদ্দীনসহ কলেজের সব শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।
বীরশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা হামিদুর রহমানের সংক্ষিপ্ত জীবনীতে জানা যায়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগোনা জেলার চাপড়া থানার ডুমুরিয়া গ্রামে ১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭-এর ভারত বিভাগের পর তার দাদা-বাবা-চাচারা চলে আসেন ঝিনাইদহ জেলার সীমন্তবর্তী উপজেলার খোর্দ্দ খালিশপুর গ্রামে। ১৯৭১ সালের ২ ফেব্রম্নয়ারি তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দেন। পরে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের দক্ষিণ পূর্বে কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই নামক স্থানে মুক্তি বাহিনীতে যোগ দেন। ২৮ অক্টোবর রাতে ধলইয়ের যুদ্ধে শহীদ হন। মৃতু্যর পর ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের অন্তর্গত আমবাসা নামক স্থানে একটি মসজিদের পাশে সমাহিত করা হয়। সুদীর্ঘ ৩৬ বছর পর ২০০৭ সালের ১১ ডিসেম্বর হামিদুরের দেহাবশেষ বাংলাদেশে নিয়ে এসে ঢাকার শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করে বাংলাদেশ সরকার।
এরপর ২০০৮ সালের ৯ মার্চ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমান গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধের ৪ নম্বর সেক্টর কমান্ডার বীর-উত্তম (অব.) মেজর জেনারেল সি আর দত্ত। জাদুঘর উদ্বোধনকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্থানীয় সরকার পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আনোয়ারুল ইকবাল গ্রামের নাম হামিদনগর ঘোষণা দেন। গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরে আগত দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে জাদুঘরের সামনেই স্থাপন করা হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুরের জীবনী সংবলিত একটি বিশাল আকৃতির ফলক।