চকরিয়ায় রিজার্ভ বনভূমি থেকে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন

হুমকির মুখে পরিবেশ

প্রকাশ | ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফুলছড়ি বনবিটের রিজার্ভ বনভূমিতে শ্যালো মেশিন বসিয়ে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করছে একদল সংঘবদ্ধ বালুখেকো। এতে পাহাড়ধসের পাশাপাশি বিনষ্ট হচ্ছে প্রকৃতি ও পরিবেশ। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড ফুলছড়ি বিটের রিজার্ভ বনভূমিতে গর্ত করে শ্যালোমেশিন বসিয়ে অন্তত ৭-৮ স্থানে বালু উত্তোলন করছে। এতে আশপাশের পাহাড় ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভেঙে পড়ছে বড় বড় গাছপালা। স্থানীয় লোকজন জানান, স্থানীয় কিছু দুর্বৃত্ত দিন-রাত শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন অব্যাহত রখেছে। দিনে বন্ধ থাকলেও রাতভর ডাম্পার ট্রাকে করে বালু বিক্রি চলছে। এসব এলাকার বসতবাড়িও ধসে পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয় লোকজন। এছাড়া ওই এলাকার সড়কও চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তারা অভিযোগ করে আরও বলেন, এসব বালু উত্তোলন কাজে স্থানীয় বন বিভাগের লোকজনের সহায়তা করছেন। ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন আহমেদ বলেন, 'রিজার্ভ এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর অভিযান পরিচালনা করে স্থানীয় পিয়াইজ্জাকাটা এলাকার কবির আহমদের ছেলে মো. মনির, তার ভাই মো. হেলাল ও জয়নগর এলাকার বশির ড্রাইভারের ছেলে মো. ইকবালের বিরুদ্ধে বনমামলা দেওয়া হয়েছে।' তিনি আরও জানান, 'এদিকে মামলা দেওয়ায় তাদের ভাই লিটন, ইব্রাহীমসহ অপরাপর দুর্বৃত্তরা আরও বেপরোয়া হয়ে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। আমাদের জনবল কম থাকায় বারবার অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। এছাড়া বালুখেকোরা কয়েকবার বন বিভাগের লোকজনকে গাড়িচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে।' কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকার এক কিলোমিটার এলাকায় যে কোনো ধরনের বালু উত্তোলন আইনগতভাবে নিষিদ্ধ। এ কারণে এসব এলাকা জেলা প্রশাসন কর্তৃক ইজারা দিলেও বন বিভাগের আপত্তির মুখে বর্তমানে ইজারা বন্ধ রয়েছে। এর পরও কিছু দুর্বৃত্ত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। তাদের বিরুদ্ধে বন বিভাগ আইনগত ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া স্থানীয় লোকজনকে বালু উত্তোলনে নিরুৎসাহিত করতে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হবে।