নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছর পর এই কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হলো।
শনিবার লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু করে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ হয়। ভোটগ্রহণ চলাকালে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচনে উপজেলা বিএনপির ৮৫২ জন কাউন্সিলের মধ্যে ৮০৬ জন এবং পৌর বিএনপির ৪৫৯ জনের মধ্যে ৪১৬ জন কাউন্সিলর গোপন ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
ভোট গণনা শেষে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু, নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনে লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে ২৮১ ভোট পেয়ে আহাদুজ্জামান বাটু (প্রতীক চশমা) নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জিএম নজরুল ইসলাম (দোয়াত-কলম) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৬০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে কাজী সুলতানুজ্জামান সেলিম (ছাতা) প্রতীক নিয়ে ৪০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিপু সুলতান আনারস মার্কা নিয়ে ৩৮৬ ভোট পেয়েছেন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শাহ আলম শিকদার (টিউবওয়েল) প্রতীক নিয়ে ২৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওহিদুজ্জামান ওহিদ (সিলিং ফ্যান) পেয়েছেন ২০১ ভোট।
এ ছাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি পদে মিলু শরীফ (দোয়াত-কলম) প্রতীক নিয়ে ১৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন এস এম শাহিন বিপস্নব (চশমা) প্রতীক নিয়ে ১৫৯ ভোট পেয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. মশিয়ার রহমান সান্টু। তিনি মোমবাতি প্রতীক নিয়ে ২৪৩ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আকিদুল ইসলাম (আনারস) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮১ ভোট।
সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন এস এ সাইফুলস্নাহ আল মামুন। মাছ প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ২৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জহিরুল ইসলাম জহির গোলাপফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৭৫ ভোট।
উলেস্নখ্য, দীর্ঘ ১৫ বছর পর উৎসবমুখর পরিবেশে লোহাগড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হলো।