ইলিশ শিকার করায় টাঙ্গাইলে ১১ চাঁদপুরে ৬ জেলের কারাদন্ড

প্রকাশ | ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
টাঙ্গাইল সদর ও কালিহাতী উপজেলার অংশে যমুনা নদীতে ও চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ ধরার অপরাধে ১৭ জেলেকে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল জানান, যমুনা নদীর টাঙ্গাইল সদর ও কালিহাতী উপজেলার অংশে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ ধরার অপরাধে ১১ জেলেকে ৭ দিন করে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যমুনা নদীতে ইলিশ মাছ সংরক্ষণ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোহাইমিনুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ১১ জেলেকে ওই কারাদন্ড দেন। দন্ডিতরা হলো- টাঙ্গাইল সদর উপজেলার লোকমান মোলস্নার ছেলে শফিকুল ইসলাম, আক্তার হোসেনের ছেলে বাদশা, রফিকুলের ছেলে হোসেন আলী ও সোহাগ, আবু সাইদের ছেলে আসলাম, মাজম শেখের ছেলে আশরাফ, সিরাজগঞ্জের আবু সামার ছেলে আলিম, তুফানের ছেলে গোলাম, ছকের মোলস্নার ছেলে লতিফ, শাহ আলমের ছেলে আসাদুল ইসলাম ও বোরহান মন্ডলের ছেলে আসাদুল। চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে প্রজনন রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশ ধরার দায়ে সাত দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন মতলব উত্তর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিলেস্নাল চাকমা। কারাদন্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলো- চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের সাখুয়া ও রামদাসদী গ্রামের হাফেজ সৈয়ালের ছেলে খোরশেদ সৈয়াল (২৫), লতিফ খানের ছেলে অজুদ খান (২৪), মৃত খোরশেদ ব্যাপারীর ছেলে জাকির ব্যাপারী (৪০), মৃত বিলস্নাল গাজীর ছেলে মানিক গাজী (২৮), মৃত সোলায়মান গাজীর ছেলে আল-আমিন (২৬) ও নুরুল ইসলামের ছেলে হাবিবুর রহমান। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন, উপ-সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহজাহান, কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ সদস্যরা। চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।