কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনু বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল হক পাটওয়ারী বলেছেন, কৃষি খাতে সিলেট অঞ্চলে ৫শ' কোটি টাকার প্রজেক্ট কিছুদিনের মধ্যে পাস হচ্ছে। আগামী মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত হবে। এ প্রজেক্টটি সিলেট অঞ্চলে এলে কৃষি ক্ষেত্রে অত্র অঞ্চলের কৃষকরা উপকার পাবেন।
শুক্রবার আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের (প্রথম সংশোধিত) আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলা পর্যায়ে বার্ষিক পরিকল্পনা বাস্থবায়ন কৌশল বিষয়ে জেলা কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মৌলভীবাজারে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ী ঢাকা আয়োজিত কর্মশালায় পরিকল্পনা অনু বিভাগ সচিব আরও বলেন, এ অঞ্চলে আগাছা (বিন্নাঘাস) বেশি হচ্ছে। এগুলো কৃষকদের কৃষি ক্ষেতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এসব আগাছা আমরা উন্নত ট্রাক্টর দিয়ে সরিয়ে ফেলব। এখন বিস্তৃত সবজি চাষ হচ্ছে। সিলেট কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও হবিগঞ্জের বাহুবলে উন্নত জাতের সিম চাষাবাদ করে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। কৃষি উপযোগী সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় যাতে কৃষকরা ক্ষয়ক্ষতির মুখে না পড়েন তাতে আমাদের বিজ্ঞানীরা কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা-২ অধিশাখা'র যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, এ অঞ্চলে সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলোর সমাধানে কৃষি মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মতিউজ্জামানর সভাপতিত্বে ও সিলেট অঞ্চলের মনিটরিং অফিসার আব্দুল মন্নানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, সিলেটের অধ্যক্ষ ডক্টর মোহাম্মদ কাজী মজিবুর রহমান, সিলেট অঞ্চল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক রকিব উদ্দিন। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্যে মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ বলেন, এ বছর মৌলভীবাজার জেলায় ১ লাখ ২৭ হাজার হেক্টর 'নিত' ফসল চাষাবাদ হচ্ছে। ৯৩ হাজার কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়া হবে।
এ সময় মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার কৃষি কর্মকর্তা, কৃষক, কৃষিপণ্য উৎপন্ন ও বিপণনকারী, সাংবাদিকসহ প্রায় আড়াইশ জন উপস্থিত ছিলেন।