ফেনী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জোড়াতালি দিয়ে সেবা দিতে হচ্ছে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ রোগীকে। লোকবলের অভাব দীর্ঘদিন ধরে। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ফেনী জেনারেল হাসপাতালের নিচতলায় অনেক যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে গেছে। যদিও তত্ত্বাবধায়ক আবুল খায়ের মিয়াজির নির্দেশ অনেক দামি যন্ত্রপাতি উপরে উঠিয়ে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে।
বন্যার পানিতে নিচতলায় ডুবে বেশ ক্ষতি হয়েছে। দ্রম্নত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা চালু করে বানভাসিদের নানাবিধ জটিল রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এ কর্মকর্তা। ডায়ালাইসিস চালু করে দশ বেডের আইসিইউ চালু রেখেছেন বলে হাসপাতালের সুপারিন্টেডেন্ট ডা. আবুল খায়ের মিয়াজি জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ফেনী জেলার বাসিন্দা ছাড়া কুমিলস্নার চৌদ্দগ্রাম, নোয়াখালীর সেনবাগ, কোম্পানীগঞ্জসহ খাগড়াছড়ি জেলা ও চট্টগ্রামের মিরসরাই বারইয়াহাটের রোগীরা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। ২৫০ বেডের হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন গড়ে চার থেকে পাঁচশ' রোগী। এতে করে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। ডাক্তার, নার্সসহ তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির লোকজনের শূন্যতা দীর্ঘদিন ধরে।
১০০ বেডের লোকবল দিয়ে ৫০০ লোকের চিকিৎসা সেবা দেওয়া কষ্টকর। তবুও জোড়াতালি দিয়ে প্রতিদিন রোগীদের সাধ্যমতো সেবা দিয়ে যাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ফেনীতে একটি পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দাবি করে আসছে বিভিন্ন পেশার লোকজন। এটি এখন সময়ের দাবি। সে দাবি বাস্তবায়নের জন্য ফেনীবাসী জোর দাবি জানান।