শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরে রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। যে ইটগুলো স্থানীয়দের হাতের চাপেই ভেঙে গুঁড়া গুঁড়া হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স স্মার্ট বিলডার্স উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের রাড়ী কান্দি স্কুল হতে ওহাব ঢালীরকান্দি পর্যন্ত ১ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি নির্মাণে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করছেন। নিম্নমানের কাজ হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চুপ আছে বলছেন স্থানীয়রা। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, যেকোনো একটি ইট ভাটার সবচেয়ে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে রাস্তা নির্মাণে। যা হাত দিয়ে চাপ দিলেই ভেঙে যাচ্ছে। বলা যায় চুলার পোড়া মাটি এগুলো। আর এসব ড্যামেজ ইট প্রকাশ্যেই ব্যবহার করছে রাস্তা নির্মাণে। ২০২৪-২০২৫ সালে কাজ শুরু করে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রথমে রাস্তার দুই পাশ কেটে বালু দিয়ে রাস্তাটি ভরাট করে। তবে এরপর থেকে কাজের ধীরগতির কারণে রাস্তাটি নির্মাণ না হওয়ায় বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে থাকে। যার কারণে এলাকাবাসীর যাতায়াত করতেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে পোড়া মাটির মতো এসব ইট ব্যবহার করলে রাস্তা টেকসই হবে না বলে স্থানীয়দের দাবি।
স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদী রাড়ী ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, দীর্ঘ দুই যুগ পরে আমাদের রাড়ী কান্দির এ রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে ইটগুলো একেবারে চুলার মাটি যা আমরা হাত দিয়েই চাপ দিলে ভেঙে যাচ্ছে। ঠিকাদার দায়সারাভাবে নিম্নমানের ইট এনেছে। কর্তৃপক্ষের প্রতি দৃষ্টিআকর্ষণ করছি তারা যাতে দ্রম্নত এ অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স স্মার্ট বিলডার্স স্বত্বাধিকারী হাবিব মোলস্নার কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় শুনে ফোন কোটে দেন।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী অনুপম চক্রবর্তী জানান, 'খারাপ ইট দিয়ে কাজ করার কোনো সুযোগ নাই। এই ইট আমরা ল্যাব টেস্ট করব। প্রাথমিকভাবে ঠিকাদারকে বলা হয়েছে এই ইটগুলার কোয়ালিটি নিম্নমানের। তাই ঠিকাদারকে তাৎক্ষণিকভাবে ইটগুলো অপসারণের কথা বলা হয়েছে।'