পবিপ্রবির এনাটমি মিউজিয়ামে দেশের 'দ্বিতীয়' রয়েল বেঙ্গল টাইগারের কঙ্কাল
প্রকাশ | ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
পবিপ্রবি প্রতিনিধি
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) এ্যানিম্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের এনাটমি ও হিস্টোলজি বিভাগের ল্যাবরেটরিতে নতুন করে সংযোজন হলো রয়েল বেঙ্গল টাইগারের কঙ্কাল। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম কঙ্কালটি উদ্বোধন করেন।
প্রফেসর ড. সাইদুর রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী এবং গবেষকদের দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের পর প্রস্তুত হয় বহুল আকাঙ্ক্ষিত কঙ্কাল। বন্যপ্রাণী গবেষণার ক্ষেত্রে বাঘের কঙ্কাল অনুষদের শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের আরেকটি নতুন দ্বার উন্মোচন করবে বলে আশা রাখছেন বিভাগের শিক্ষকরা। কঙ্কাল প্রস্তুতে সহায়তা করেছেন এনাটমি অ্যান্ড হিস্টোলজি ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. তোফাজ্জল হোসেন এবং তৈরিতে অংশগ্রহণ করেছেন ডা. তারিকুর রহমান তারেক, সানজিদ, বাতেন, লোকমান, আশরাফ, পিয়াস, আমিনুল, আ. রওফ, জামিনসহ শিক্ষার্থীরা। রয়েল বেঙ্গল টাইগারটি ২০২২ সালে রংপুর চিড়িয়াখানায় বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যায়। পরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তৎকালীন মহাপরিচালকের অনুমতিতে একই বছরের অক্টোবর মাসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দীর্ঘদিনের পরিশ্রমে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় পূর্ণাঙ্গ কঙ্কাল প্রস্তুত হয়। পাশাপাশি বাঘের কঙ্কালটি শিক্ষা ও গবেষণার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
কঙ্কাল প্রস্তুতকরণ সদস্য ডা. তারিকুর রহমান তারেক বলেন, 'এনাটমি ল্যাবসমৃদ্ধ করার জন্য দুর্লভ বন্যপ্রাণী সংগ্রহ ও প্রস্তুতকরণে আমরা বরাবরের মতো অংশ নেবো। পবিপ্রবির এনাটমি ল্যাব হবে বন্যপ্রাণীর কঙ্কাল গবেষণার অন্যতম তীর্থভূমি।'
কঙ্কাল প্রস্তুতকরণে সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান বলেন, 'আমি খুবই আনন্দিত একটি তারুণ্যদীপ্ত উদ্যোমী দল নিয়ে বাঘ এবং জলহস্তীর কঙ্কালের কাজটি শেষ করতে পেরেছি। ভবিষ্যতে নতুন কঙ্কাল সংযোজন করে ল্যাবকে সমৃদ্ধ করার এ ধারা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব।'
এনাটমি অ্যান্ড হিস্টোলজি ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, 'বাঘের কঙ্কালটি জ্ঞান অর্জনের অমূল্য ভান্ডার হয়ে থাকবে। এভাবেই পবিপ্রবি শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে গিয়ে দক্ষ ভেটেরিনারিয়ান তৈরি করবে।'
বাঘের এই কঙ্কাল সন্নিবেশন একটি দুর্লভ কাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন পবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। তিনি আরও বলেন, 'এ ধরনের গবেষণামূলক ব্যতিক্রমধর্মী কাজে কঙ্কাল তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছাত্র ও শিক্ষক দলটির স্বতঃস্ফূর্ত অবদান বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনন্য সম্পদ হয়ে থাকবে, যা ভবিষ্যতে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য অনুপ্রেরণা জোগাবে।'