নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার
চাঁদপুরে ২৭ জেলে আটক টাঙ্গাইলে ৮ জেলের কারাদন্ড
প্রকাশ | ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
স্বদেশ ডেস্ক
মা-ইলিশ রক্ষায় ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন নদীতে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞাকালে মাছ শিকারে নদীতে নামলে আটক ব্যক্তির সর্বোচ্চ ২ বছরের জেল, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান আছে। এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে মৎস্যবিভাগ ও নৌ-পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত আছে। এরই ধারাবাহিকতায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করার অপরাধে পৃথক অভিযানে চাঁদপুরে ২৭ জেলেকে আটক করা হয়েছে। অন্যদিকে টাঙ্গাইলে ইলিশ ধরতে যাওয়া আট জেলের ১৫ দিনের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আঞ্চলিক স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধির পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত ডেস্ক রিপোর্ট-
চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান, চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের অপরাধে পৃথক অভিযানে ২৭ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ৩৩৬ কেজি ইলিশ, ৯ লাখ এক হাজার ৩০০ মিটার মাছ ধরার জাল, পাঁচটি ইঞ্জিনচালিত মাছ ধরার নৌকা এবং দুইটি ড্রেজার জব্দ করা হয়।
বুধবার সকালে নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নৌ-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত চাঁদপুরে পদ্মা মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় নদীতে মাছ ধরা অবস্থায় ২৭ জেলেকে আটক করা হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৯ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড এবং চারজনকে ১১ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়। বাকিদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে মামলা করা হয়।
নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, মা-ইলিশ রক্ষায় জেলা টাস্কফোর্সের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে। ২৪ ঘণ্টা নদীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগ পৃথক অভিযান চালাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২৭ জেলেকে আলামতসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৯ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড এবং চারজনকে ১১ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়। বাকিদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে চারটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া জব্দ মাছ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ এবং কারেন্ট জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়।
স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল জানান, মা-ইলিশ সংরক্ষণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে টাঙ্গাইলে যমুনা নদীতে মাছ ধরার অপরাধে আট জেলেকে ১৫ দিন করে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে যমুনা নদীর সদর উপজেলায় ইলিশ মাছ সংরক্ষণ অভিযানে আটক আট জেলেকে ওই কারাদন্ড দেওয়া হয়।
দন্ডিতরা হচ্ছেন- সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার কিরাতখোল গ্রামের আবুল শেখের ছেলে মোতালেব, একই উপজেলার দেলুয়া গ্রামের গফুর শেখের ছেলে আবু হাসান, আবু সামার ছেলে আবু হানিফ, বারেক মোলস্নার ছেলে মামুন মোলস্না, নজরুলের ছেলে মনিরুল, মান্নানের ছেলে রফিক ও আরিফ এবং এলাহী আকন্দের ছেলে শহীদ। তাদের প্রত্যেককে ১৫ দিন করে কারাদন্ড দেওয়া হয়।
টাঙ্গাইলের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আইয়ুব আলী জানান, আটক ওই আট জেলের কাছ থেকে প্রায় ১০ হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে। যার মূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা। জব্দ জাল জনসম্মুখে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীর সদর উপজেলার কাকুয়া, কাতুলি ও হুগড়া ইউনিয়নের অংশে ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে কারেন্ট জাল ও ইলিশ মাছসহ ওই আট জেলেকে আটক করা হয়। পরে তাদের প্রত্যেককে ১৫ দিন করে কারাদন্ড ও জব্দ ইলিশ এতিমখানায় দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযানে টাঙ্গাইলের মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌপুলিশের সদস্যরা ছিলেন।