কেরানীগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে অটোরিকশার চালক খুন হয়েছে। অন্যদিকে কুষ্টিয়ায় নিজ গলা কেটে আত্মহত্যা করেছেন একজন হোমিও চিকিৎসক। প্রতিনিধিদের পাঠানো বিস্তারিত খবর-
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি জানান, ঢাকার কেরানীগঞ্জের গোলামবাজার এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মো. নয়ন (২৫) নামে এক অটোরিকশাচালক নিহত হয়েছেন। বুধবার সকালের ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জানা যায়, নিহতের নয়নের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার নহরী গ্রাম। তার পিতা আব্দুল মতিন। বর্তমানে কেরানীগঞ্জের কদমতলী গোলাম বাজার এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। নিহতের ফুফাতো ভাই রিফাত হোসেন জানান, সকালের দিকে প্রতিদিনের মতো অটোরিকশা নিয়ে বাসা থেকে বের হন নয়ন। সকাল আটটার দিকে গোলাম বাজার এলাকায় ৪-৫ জন ছিনতাইকারী পেছন থেকে নয়নকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় ছিনতাইকারীরা তার অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় নয়নকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, মরদেহ ঢামেক হাসপাতালে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানান, কুষ্টিয়ায় খন্দকার মাহে আলম (৬০) নামের এককজন হোমিও চিকিৎসক নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার সকালে তার নিজ বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি কুষ্টিয়া সাদ্দাম বাজার নাসির উদ্দিন সড়ক এলাকার মৃত খন্দকার নাসির উদ্দিনের ছেলে।
নিহত আলমের স্বজনরা জানায়, তিনি একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ছিলেন। তবে বর্তমানে দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ। ভোরের দিকে নিজেই ছুরি দিয়ে নিজের গলায় আঘাত করে আত্মহত্যা করেছেন। পরে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, নিহতের পরিবার জানিয়েছে তিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন। নিজেই নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তারপরও বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।