পোরশায় আমন ধানে পচন রোগ বিপাকে কৃষক
প্রকাশ | ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর পোরশায় আমন ধানের ক্ষেতে পচন রোগ দেখা দিয়েছে। এর ফলে কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন। রোগাক্রান্ত ধান গাছে কীটনাশক স্প্রে করে তেমন ফল পাচ্ছেন না তারা। এই রোগের আক্রমইে ধানগাছ গোড়া থেকে পচে মরে যাচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, কৃষকরা ভোর হলেই পিঠে কীটনাশক স্প্রে করার যন্ত্র চাপিয়ে ধানের জমির উদ্দেশে বেরিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন উপায়ে ধান বাঁচানোর চেষ্টাও করছেন তারা। এ অবস্থা থাকলে আমন ধানের ফলন বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তবে নিতপুর ইউনিয়নে এ রোগে আক্রান্ত আমন ধানের পরিমাই বেশি বলে জানা গেছে।
কৃষকরা জানান, নিতপুর ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কৃষকদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। কৃষকরা পরামর্শ চাইলেও তাকে পাওয়া যায় না বলে তারা জানান। নিতপুর ইউনিয়নের গোপালগঞ্জের আব্দুর রহিম, আক্কাস আলী, শোভাপুরের আবু সফিয়ান জানান, তাদের জমিতে রোপণ করা আমনধান ব্যাপকভাবে পচন রোগে আক্রান্ত। জমির ধানের ফলন প্রায় হবে না বলে তারা ধারণা করছেন। এতে এই ইউনিয়নে ফলন বিপর্যয় হতে পারে। কৃষি বিভাগ থেকে কোনো পরামর্শ বা সহযোগিতা পাননি বলেও তারা জানান।
ঘাটনগর ইউনিয়নের পাঁচড়াই গ্রামের মকবুল হোসেন মাস্টারসহ নিস্কিনপুর গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান, কিছুদিন আগেও জমির ধান ভালো ছিল। হঠাৎ করে ধানে পচন রোগের আক্রমণ শুরু হয়েছে। এতে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করে কিছুটা প্রতিকার পেয়েছেন তারা। অন্যদিকে, মশিদপুর ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান জানান, তার জমিতে কয়েকবার কীটনাশক ছিটিয়েও কোনো কাজ হয়নি। তাছাড়া উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ডেকেও কাউকে পাওয়া যায় না বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ রোগের আক্রমণ থেকে ধান বাঁচানোর উপায় হচ্ছে গাছে কীটনাশক প্রয়োগ করা। এছাড়াও পরামর্শ দেওয়ার জন্য উপ-কৃষি কর্মকর্তারা এলাকায় নিয়মিত যাচ্ছেন এবং তাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।