ইজিবাইক জটে স্থবির গাইবান্ধা শহর

প্রকাশ | ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধা পৌর শহরে ইজিবাইকের দৌরাত্মে প্রতিনিয়তই যানজটের দৃশ্য -যাযাদি
১০.৫৪ বর্গকিলোমিটারের গাইবান্ধা পৌরসভা। এটি ১৯২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, যা রংপুর বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। গাইবান্ধা জেলায় ৪টি পৌরসভা রয়েছে। পৌরসভাগুলো হচ্ছে- পলাশবাড়ি, গোবিন্দগঞ্জ, সুন্দরগঞ্জ ও গাইবান্ধা পৌরসভা। গুরুত্বের দিক থেকে গাইবান্ধা পৌরসভা পুরাতন ও অন্যতম। জেলার সব লোকের প্রাণ কেন্দ্র গাইবান্ধা পৌর শহর। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা সদর হাসপাতাল, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, এটিআই, পিটিআই, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বালক ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গণপূর্ত, এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য, সরকারি গণ গ্রন্থাগার, সরকারি শিশু সদন বালক বালিকা, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়, প্রসূতি মাতার ভরসাস্থল মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রসহ সেবাগ্রহীতা মানুষের প্রতিনিয়তই যানজট ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অপরিকল্পিত ইজিবাইকের অনুপ্রবেশ যানজটের অন্যতম কারণ বলে অনেকেই করছেন। সেইসঙ্গে ফোর লেন নামীয় সড়ক, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, অদক্ষ ইজিবাইক চালকসহ নানা কারণে যানজটের সৃষ্টি হয় বলে বিশিষ্টজনদের ধারণা। পৌরসভার তথ্যমতে ২ হাজার ইজিবাইকের লাইসেন্স দেওয়া আছে। কিন্তু ইজিবাইক চলে ৭ হাজারেও বেশি। ফলে একজন ছাত্রছাত্রী ও পথচারী গন্তব্যে পৌঁছতে অতিরিক্ত প্রায় ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা সময় পার করতে হয় রাস্তায়। চিকিৎসাসেবা নিতে আসা প্রসূতিসহ যেকোনো ধরনের রোগীকে এবং বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা মানুষের এই বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম গাইবান্ধা জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহনেওয়াজ খান বলেন, ১৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ফোরলেন রেলওয়ে বিভাগ, সড়ক বিভাগ এবং জেলা পরিষদের সমন্বয়ের অভাবে সিডিউল অনুযায়ী রাস্তা প্রশস্ত না হওয়ায় সুফল পাচ্ছেন না গাইবান্ধাবাসী। সমন্বয় হলে যানজট অনেকাংশে হ্রাস পাবে। পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হানিফ সর্দার বলেন, যানজট নিরসনে পৌর কর্তৃপক্ষ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বাস্তবায়ন হলে সুফল পাওয়া যাবে। জেলা পুলিশ সুপার মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এ অবস্থা নিরসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।