১০ বছর আগে খুনের শিকার যুবলীগ নেতা হলেন হত্যা মামলার আসামি
প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
৯ বছর ১০ মাস আগে ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সন্ত্রাসীদের হাতে খুনের শিকার হয়েছিলেন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের নজির আহমদের ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি আবু বক্কর। সেই থেকে তিনি এতদিন কবরে থাকলেও নিহত আবু বক্কর গত শনিবার চকরিয়া থানায় ১১ বছর পর রুজু হওয়া চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের বাসিন্দা কিশোর মিজানুর রহমান হত্যা মামলায় আসামি হয়েছেন। ২০১৩ সালের ২৫ অক্টোবর বিএনপির মিছিলে গুলিতে কিশোর মিজানুর রহমানের মৃতু্যর ঘটনায় ১১ বছর পর তার বাবা মোহাম্মদ শাহ আলম (৪৪) বাদী হয়ে শনিবার চকরিয়া থানায় হত্যা মামলা রুজু করেছেন।
মামলায় কক্সবাজার ১ আসনের সাবেক এমপি ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আলমগীর চৌধুরীসহ ১২৮ জনের নাম উলেস্নখ করে আরও ৫০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে মোট ১৭৮ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
এ মামলায় এজাহারে ৯ বছর ১০ মাস আগে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত যুবলীগ নেতা আবু বক্করকে ১১৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তিকে আসামি কেন করা হয়েছে, জানতে চাইলে হত্যা মামলার বাদী মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, 'আমার মামলাটি রাজনৈতিকভাবে হয়েছে। মানিকপুরের মৃত আবু বক্করকে আমি চিনি না। মামলার এজাহারে আসামির নাম-ঠিকানা রাজনৈতিক নেতারা করেছেন। আমি শুধু বাদী হিসেবে টিপসই দিয়েছি।'
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে মানিকপুর বাজারে যুবলীগ নেতা আবু বক্করকে একদল সন্ত্রাসী কুপিয়ে খুন করে। হত্যার পর চকরিয়া থানায় মামলা করে তার পরিবার। নিহত আবু বক্করের স্ত্রী সোনিয়া আকতার জানান, 'আবু বক্করকে ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছিল। এখন প্রায় ৯ বছর ১০ মাস সময় অতিবাহিত হচ্ছে। মামলাটি আদালতে বিচার প্রক্রিয়া চলছে। এরই মধ্যে মারা যাওয়া একজন মানুষকে ১১ বছর পর কীভাবে হত্যা মামলায় আসামি করা হলো। মামলাটি কে করেছে, কাদের স্বার্থে করা হয়েছে, জানি না।'
জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ওসি মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, কিশোর মিজান হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ১১৪ নম্বর আসামি এখন কোথায় খোঁজখবর নেওয়া হবে। বাদী মামলার এজাহারে যেসব আসামির নাম দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেই মামলাটি রুজু হয়। কীভাবে মৃত ব্যক্তি আসামি হলেন, সেই বিষয়ে বাদীর সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।