অলস সময় পার করছেন লেপ-তোশক কারিগররা

সৈয়দপুরে রেললাইনের ধারে পুরনো গরম কাপড়ের দোকানে ব্যস্ততা

প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

আবু-বিন-আজাদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
শীতের আমেজ শুরু না হতেই নীলফামারীর সৈয়দপুরে টুকটাক শুরু হয়েছে লেপ-তোশক তৈরির কাজ। তবে রেললাইনের ধারে গরিব ও নিম্ন্নআয়ের মানুষের শীত নিবারণের ভরসাস্থল পুরনো গরম কাপড়ের দোকান বসাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। সরেজমিন দেখা গেছে, শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের তুলা ও লেপ-তোশক তৈরির দোকানগুলোতে এখনো তেমন একটা লেপ-তোশক তৈরির কাজ হচ্ছে না। যার ফলে ধনুকররাও অনেকটা অলস সময় পার করছেন। কথা হলে হাতেগোনা কয়েকজন ক্রেতা ও দোকান মালিকরা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে হওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবনযাপন করতেই অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে। তার ওপর শীত সমাগত। আর কিছুদিনের মধ্যেই শীত নামবে। এমনিতেই ভোরের দিকে ঘনকুয়াশা দেখা দিচ্ছে। আগে শীত আসার আগেই সবাই পুরোপুরি প্রস্তুতি নিতে লেপ-তোশক তৈরির জন্য বাজারের দোকানগুলোতে ভিড় জমাত। এবারে তা নেই বললেই চলে। সৈয়দপুর তুলাঘর দোকানের মালিক জানান, দেশি তুলা ৪শ' টাকা কেজি ও গার্মেন্টস তুলা ৩শ' টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ওই দোকানের লেপ বানানোর কাজে ব্যস্ত কারিগর জানান, এবারে খুব কম মানুষই এখন পর্যন্ত লেপ বানাতে আসছেন। অথচ, আগে কাজ করার ফুরসত পেতেন না। তাছাড়া এবারে লোপ-তোশক বানাতে খরচও বেশি পড়ছে। অন্যদিকে, সৈয়দপুরের প্রধান ডাকঘরের ১নং রেলঘুন্টির দক্ষিণ ও উত্তর দিক ঘেঁষে পুরনো গরম কাপড়ের জন্য অস্থায়ী দোকানঘর তৈরি করে গরম কাপড় বিক্রির জন্য সাজানো শুরু হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই এর পরিধি বাড়ছে। কথা হলে কয়েকজন দোকান মালিক জানান, 'শীত শুরুর আগে আমরা এসব দোকানে পুরনো গরম কাপড় বিক্রি করি। আমাদের থেকেই পুরনো গরম কাপড় কম দামে পেয়ে নিম্নআয়ের ও গরিব মানুষজন শীত নিবারণ করে আসছেন। শুধু তাই নয়, অনেক বিত্তবান মানুষজনও গরম কাপড়ের স্তূপ থেকে পছন্দমত কাপড় কিনে থাকেন।' গ্রাম থেকে আসা কয়েকজন ক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, 'শীত এখনো পড়েনি। তারপরেও আমরা পুরনো এসব গরম কাপড় এখন কিনতে এসেছি এ জন্য যে, হয়তো দামে কমে পাব। কিন্তু এখনই দাম চড়া। সামনে যে কি হবে তা নিয়েও চিন্তিত আছি।'