বঙ্গোপসাগরে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় বেকার হয়ে পড়েছেন কক্সবাজারের দ্বীপ কুতুবদিয়া উপজেলার জেলেরা। এ পরিস্থিতিতে অনেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। আবার অনেকে পেশাও পরিবর্তন করে জাল বুনছেন। এতেও কাটছে না তাদের দুর্ভোগ।
তবে, উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের জেলে কালু বলেন, সাগরে মাছ ধরা বন্ধ আগে জলদুস্যদের কবলে পড়লে ট্রলার থেকে সব নিয়ে যায় জলদুস্যরা। এখন মাছ ধরা বন্ধ থাকায় তিনি চলাচ্ছেন টমটম রিকশা। কিন্তু তাতেও দুর্ভোগ কমেনি তার। তার মতো আরও অনেক জেলের একই পরিণতি হয়েছে। কর্মহীন থাকায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন তারাও।
এদিকে, গত ১৩ অক্টোবর থেকে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত মা ইলিশের বিচরণ ও অভিপ্রয়াণ নিরাপদ রেখে প্রজননের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে ইলিশের প্রবৃদ্ধি অক্ষুণ্ন রাখার নিমিত্ত এর লক্ষ্যে ২২ দিন সব ধরনের মাছ ধরায় চলছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা। এর মধ্যে কুতুবদিয়ার সরকারি তালিকায় জেলের সংখ্যা ১০ হাজার ৯৫৯ জন। আর সরকারি প্রণোদনার চাল বরাদ্দ পাচ্ছেন ৪ হাজার ৯১৩ জন জেলে। তবে সরকারি তালিকায় থাকার পরও আরও ৬ হাজার ৪৬ জন জেলে বরাদ্দের চাল পাচ্ছেন না।
প্রকৃত জেলেদের অভিযোগ, কুতুবদিয়ায় সব মিলিয়ে জেলে সদস্য ২০ হাজারের বেশি। কিন্তু সরকারি নিবন্ধন করেছে ১০ হাজার ৯৫৯ জন। যাদের তালিকাভুক্ত করা হয়নি। সেসব জেলেদের তালিকাভুক্ত করার দাবি জানান। সেই তালিকা ধরে নিষেধাজ্ঞার সময়ে বেকার জেলেদের জন্য সরকারি প্রণোদনার চাল একই পরিমাণে দেওয়ার দাবি জানান তারা।
কুতুবদিয়ার মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব বলেন, সরকারি তালিকাভুক্ত ১০ হাজার ৯৫৯ জন জেলের মধ্যে ভিজিএফ বরাদ্দ এসেছে মাথাপিছু ২৫ কেজি হারে নিবন্ধিত ৪ হাজার ৯১৩ জনের জন্য। ইতিমধ্যে লেমশীখালী আর কৈয়ারবিল চাল দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ইউনিয়নে প্রদান করা হবে। এখনো যেসব জেলে তালিকাভুক্ত হয়নি তাদের সরকারিভাবে তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।