গণরুমমুক্ত পূর্ণাঙ্গ আবাসিক রূপে জাহাঙ্গীরনগরের যাত্রা শুরু

প্রকাশ | ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

জাবি প্রতিনিধি
দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে গণরুম সংস্কৃতির প্রভাবে আবাসিক হলের সিট থেকে বঞ্চিত হতেন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরাও থাকতেন মিনি গণরুমে। দেড় যুগের গণরুম সংস্কৃতির এ প্রথা বিলুপ্ত করে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক রূপে যাত্রা শুরু করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২৩-২০২৪ সেশনের প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু উপলক্ষে এ অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছেন জাবির নতুন প্রশাসন। প্রশাসনের এমন উদ্যোগে প্রথম দিন থেকেই নিজের নামে একটি করে সিট বরাদ্দ পেয়েছেন নতুন শিক্ষার্থীরা। ফলে গণরুম নামক আয়নাঘরে কাটাতে হবে না দিনের পর দিন। প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিতি লাভ করলেও বিভিন্ন সময়ে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতির রুম দখলের ফলে পূর্ণাঙ্গ রূপে আবাসিক সুবিধা পায়নি শিক্ষার্থীরা। বিগত বছরগুলোতে যারা প্রথম বর্ষে ভর্তি হতেন তাদের হলে নিজের সিট পাওয়া ছিল প্রায় অসম্ভব। বাধ্য হয়ে থাকতে হতো গণরুমে। যেখানে চারজনের একরুমে চৌদ্দ-পনেরো জনকে গাদাগাদি করে থাকতে হতো। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা এই কৃত্রিম সিট সংকট সৃষ্টি করতেন। একাই একরুমে থাকতেন নেতারা। ফলে বৈধ শিক্ষার্থীরা তাদের সিট থেকে বঞ্চিত হতেন। এবার সেই দখল কাটিয়ে বাস্তবে শতভাগ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করল জাবি। কোনো হলে নেই মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীও। জাহাঙ্গীরনগরে মোট একুশটি হল চালু হয়েছে। এসব হলে আবাসিক সিট রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার। আর সব মিলিয়ে জাবিতে অনার্স এবং মাস্টার্স মিলিয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। ফলে খুব সহজেই আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করতে পেরেছে প্রশাসন। ২০২৩-২০২৪ সেশনের নবীনদের আগমন উপলক্ষে আবাসিক হল ঘুরে দেখেন উপাচার্যসহ প্রশাসনের ব্যক্তিরা। এ উপলক্ষে র্'যাগিং, মাদক ও গণরুমমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ি, শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করি' স্স্নোগানকে ধারণ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে র্'যাগিং, মাদক ও গণরুমবিরোধীর্ যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবন থেকের্ যালিটি শুরু হয়।র্ যালি শেষে মহুয়া মঞ্চে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মাদকবিরোধী এর্ যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নবীন শিক্ষার্থীসহ প্রায় দুইশ' লোক অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের্ যাগিং, মাদক ও গণরুম বিলুপ্তির ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান।