ফুলবাড়ীতে বিএনপির বর্ধিত সভায় হট্টগোল ও হাতাহাতি

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপির বর্ধিত সভায় দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার উপজেলা পরিষদ চত্বর-সংলগ্ন রাবেয়া কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নবীউল ইসলামের সভাপতিত্বে এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকালে সভা ঘিরে দলটির দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। সভায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহাম্মেদ চৌধুরী খোকনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এ জেড এম রেজওয়ানুল হক, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম (মতি), সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচি, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোকাররম হোসেন প্রমুখ। জানা যায়, উপজেলায় বিএনপির দুটি পক্ষ আছে। একটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম (মতি)। অপর পক্ষের নেতৃত্বে আছেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাজুল ইসলাম। সকাল সাড়ে ১০টায় খুরশিদ আলমের পক্ষের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সভাস্থলে আসেন। আগে থেকেই সভাস্থলে ছিলেন শাহাজুল ইসলামের পক্ষের নেতাকর্মীরা। এ সময় দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা পরস্পরবিরোধী স্স্নোগান দিলে কথা-কাটাকাটি থেকে হট্টগোল তৈরি হয়। একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় খুরশিদ আলম মতির সমর্থকদের হাতে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা.জাহিদ হোসেনের ছবি সম্মলিত ফেষ্টুন শাহাজুল সমর্থকেরা ভাঙচুর করে পানিতে ফেলে দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল ঘটনাস্থলে আসলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন বলেন, দীর্ঘ সময় পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নেতা-কর্মীদের মধ্যে অনেক কষ্ট ও ক্ষোভ জমা আছে। সভাকে কেন্দ্র করে একটু হই-হুলেস্নাড় হয়েছে। তবে কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।