বরিশাল বিভাগে নিষেধাজ্ঞার ৬ দিনে ৯৪ জেলের কারাদন্ড

ইলিশ ধরার অপরাধে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নদ-নদীতে অভিযান চালিয়ে নিষেধাজ্ঞার গত ছয় দিনে ৯৪ জেলেকে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ১০ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এদিকে জেলার হিজলা উপজেলায় মেঘনা নদীতে অভিযান চালানোর সময় জেলেদের হামলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)সহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। বিভাগীয় মৎস্য অফিসের উপ-পরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস জানান, গত ১৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য উপকূলের সাত হাজার বর্গ কিলোমিটারের মূল প্রজননস্থলসহ সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহণ ও বিপণন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার এই সময় গত ১৩ থেকে ১৮ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে ২৩০টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা ছাড়াও ৭১১টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এ সময় মাছ ধরার অপরাধে ২৫৯টি মামলা করা হয়। কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে ৯৪ জেলেকে। শুধুমাত্র গত দুই দিনের অভিযানে পাঁচ হাজার ৬৪৯ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি চার কোটি ৬৮ লাখ ৬০ হাজার ১০০ টাকা মূল্যের ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৭ শত মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়। এছাড়া নৌকাসহ জব্দ হওয়া সরঞ্জাম নিলাম করে এক লাখ দুই হাজার ৬০০ টাকা বিক্রি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার তিন হাজার ১৯ হাজার ৮৩০ জন জেলেকে সাত হাজার ৯৯৬ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হবে। অন্যদিকে, গত শুক্রবার বিকালে মাছ ধরা বিরোধী অভিযানে বরিশালের হিজলায় মেঘনা নদীতে জেলেদের হামলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)সহ অন্তত পাঁচজন আহত হন। হিজলা ইউএনও মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান,র্ যাব-কোস্টগার্ড, আনসারসহ উপজেলার মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে মা ইলিশ রক্ষায় মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় নদীতে জাল ফেলে অবস্থান করা একটি নৌকাসহ জেলেদের আটক করে। তখন জেলেদের ডাকে আরও তিনটি নৌকায় লোক এসে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনিসহ (ইউএনও) একজন আনসার সদস্য ও চারজন কর্মচারী আহত হন। তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতের্ যাব সদস্যরা-১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন। তখন হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে ১১ জেলেকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। বাকি চারজন অপ্রাপ্ত বয়সি হওয়ায় তাদের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।