চট্টগ্রাম নগরের জামালখানে শুক্রবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের মিছিলের প্রতিবাদে ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এরপর তারা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও করে। এসময় মিছিলকারীদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। এছাড়া গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হলে তিন থানার ওসিসহ পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন তারা।
শনিবার বিকেল ৫টার দিকে নগরের দামপাড়া পুলিশ লাইন্স ঘেরাও কর্মসূচিতে এ আল্টিমেটাম দেন চট্টগ্রামের সমন্বয়করা।
এরআগে শুক্রবার মধ্যরাতে চট্টগ্রামের জামালখানে পতিত স্বৈরাচারের পক্ষে ছাত্রলীগের মিছিলের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভের ডাক দেয়। বিক্ষোভ থেকে ?'আমার ভাই কবরে, খুনি কেন ভারতে', 'খুনি হাসিনার দালালেরা, হুশিয়ার সাবধান', 'মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার', একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার' স্স্নোগান দেওয়া হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যে দেশের মাটিতে এখনো শহীদদের রক্ত মিশে আছে সে মাটিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগ খুনি শেখ হাসিনার পক্ষে স্স্নোগান দিয়েছে।
রাসেল আহমেদ বলেন, জামালখানে খুনি শেখ হাসিনার পক্ষে যারা স্স্নোগান দিয়েছে তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি প্রশাসন আইনের আওতায় আনতে না পারে তাহলে চকবাজার, কোতোয়ালী এবং পাঁচলাইশ থানার ওসিকে পদত্যাগ করতে হবে। একইসঙ্গে সিএমপি কমিশনারকেও প্রত্যাহার করতে হবে। যদি না হয় আমরা রোববার থেকে কঠোর কর্মসূচি দেব।
এরআগে শুক্রবার দিবাগত রাত ১ টার পরে 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু'সহ বিভিন্ন স্স্নোগান দিয়ে চট্টগ্রাম নগরের জামালখান এলাকায় মিছিল বের করে একদল তরুণ। যার কয়েকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
মিছিলের ভিডিও শুক্রবার রাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড পেজ থেকে শেয়ার করে লেখা হয়, চট্টগ্রামে জয়বাংলা স্স্নোগানে প্রকম্পিত রাজপথ। অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের দমিয়ে রাখা যায় না।