দিনাজপুর প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী সরকারের আস্থাভাজন এই কর্মকর্তা দিনাজপুরে যোগদানের পর থেকেই নিজেকে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করে আসছেন। সরকার পতনের পর তার বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মচারীদের নানাভাবে হয়রানি, দলীয়করন, স্বজনপ্রীতিসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম অনৈতিক সুবিধা নিয়ে বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকদের বদলী এবং পদায়ন সংক্রান্ত অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকের সঙ্গে বিভিন্ন সময় অশালিন আচরণ করে যাচ্ছেন। বিষয়গুলোর প্রতিবাদ করতে গেলেই হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। শুধু তাই নয়, চাকরীবিধি ভঙ্গ করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আবাসিকে নিয়মিতভাবে অবস্থান করলেও এ বাবদ তিনি কোন ভাড়া দেননি। অভিযোগ আছে ২০২৪ সালে সহকারি শিক্ষক নিয়োগ ও পদায়নের ক্ষেত্রে অফিস সহকারিদের মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থ নেন শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। সেবার চুড়ান্ত প্রার্থীদের নিজ ইউনিয়নের নিকটতম বিদ্যালয়ে পদায়ন করার বিধি থাকলেও বিধি ভঙ্গ করে মহিলা শিক্ষকদের ইউনিয়নের বাইরে পদায়ন আদেশ দেন। সে সময়ে বিষয়টি নিয়ে নবনিযুক্ত শিক্ষকরা বিক্ষোভ করলে তাড়াহুড়ো করে অর্থের বিনিময়ে দূরে পদায়ন শিক্ষকদের সংশোধনী আদেশ জারী করেন। বিরল উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক মেনহাজুল ইসলাম নামের এক সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ওই শিক্ষা কর্মকর্তা শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে এবং বিরল থানায় পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ করা হয়। ঘটনার দেড় মাস পার হলেও অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। উপরন্তু বিধি ভঙ্গ করে ওই শিক্ষককে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত করার অভিযোগ উঠেছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, 'মাঝেমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আবাসিক ভবনে থাকি। তবে তারা কিভাবে জানে যে আমি ভাড়া দেই না' স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, 'জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কিছু দুষ্টু লোক রয়েছে। পাশাপাশি কিছু শিক্ষক ও কর্মকর্তা দুষ্টু রয়েছে। তারাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।'