মুছাপুর ডাকাতিয়া নদীর ভাঙন রোধে ড্রেজিং কাজ শুরু
প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মুছাপুর ডাকাতিয়া নদীভাঙন রোধে নদী খননের মাধ্যমে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে ভাঙন রোধের কাজ শুরু হয়েছে। ফলে ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি এসেছে।
ইউএনও আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হালিম সালেহী উপস্থিত থেকে এ খনন কাজ উদ্বোধন করেন।
মানুষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রম্নত সময়ের মধ্যে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুরের নদীভাঙন রোধে ড্রেজিং এর কাজ শুরু করা হয়েছে। এলাকাবাসী আশা করছে খননের ফলে নদীর স্রোত গতিপথ পরিবর্তন হবে এবং নদীর মাঝখানে জোয়ারের স্রোত প্রবাহমান থাকলে ভাঙন রোধ সম্ভব হবে।
এর আগে প্রচন্ড পানির চাপে মুছাপুর রেগুলেটর ভেঙে যাওয়ায় জোয়ার ভাটার প্রভাবে নদীর তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন হয়। যার ফলে গত ২৬ আগস্টের পর থেকে বিলীন হয়েছে ওই জনপদের বড় একটি অংশ। ড্রেজিং শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে। তবে ড্রেজিং পরবর্তী আবারও রেগুলেটর স্থাপন করে স্থায়ী সমাধানের দাবি এলাকাবাসীর।
জানা গেছে, গত ২৬ আগস্ট ফেনী থেকে নেমে আসা বন্যার পানির তীব্র চাপে ভেঙে বিলীন হয় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর রেগুলেটর। তার আগে বন্যার পানি দ্রম্নত নামার জন্য খুলে দেওয়া হয় রেগুলেটরের ২৩টি ভেন্ট (গেইট)। রেগুলেটরটি বিলীন হয়ে যাওয়ায় পর থেকে ওই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। জোয়ার-ভাটার প্রভাবে ভাঙতে শুরু করে লোকালয়, ঘর-বাড়ি, মসজিদ, দোকান-পাট ও ফসলি জমি। এখনও প্রতিনিয়ত বিলীন হচ্ছে আরও অনেক নতুন নতুন জায়গা। পানির স্রোতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফেনীর দাগনভুঁইয়া, সোনাগাজী ও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট উপজেলার মানুষের মধ্যে দেখা দেয় আতঙ্ক।
পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পানি উন্নয়ন উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তাব্যক্তি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নদীভাঙন রোধে তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার ছোট ফেনী নদীর জনতা বাজার অংশে ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে স্বস্তি ফিরেছে তীরবর্তী ৪ উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের মধ্যে। দ্রম্নত এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হালিম সালেহী জানান, স্থানীয়দের দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় রেখেই এই ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নদীর পানি প্রবাহের গতিপথ পরিবর্তন হবে এবং ভাঙনের পরিমাণ কমে যাবে। তিনি বলেন, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পার মাধ্যমে ভাঙনের স্থায়ী সমাধান করার পরিকল্পনা রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের। প্রাথমিকভাবে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এখানে ড্রেজিং মেশিন চলতে যে তেল খরচ হবে শুধু সে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।