বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় মাঠজুড়ে রোপা আমন ধানের সবুজের সমারোহ। মাঠের রোপা আমন ধান বাতাসে দোল খেয়ে দিগন্ত জোড়া সবুজের সমারোহে চাষিদের মনকে আল্পুত করছে।
উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, এবার দুপচাঁচিয়ায় ১১ হাজার ৭শ' হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে উফসী ১১ হাজার ২শ' হেক্টর ও হাইব্রিড ৫শ' হেক্টর। উফসী জাতের ধানের মধ্যে ৮শ' হেক্টর আগাম জাতের ধান রয়েছে, যা প্রায় দুইসপ্তাহ পরে ঘরে তোলা যাবে বলে ধারণা করছেন অনেক চাষি। আগাম জাতের ধানের মধ্যে রয়েছে বিনা-৭, বিনা-১১, ব্রি ধান-৪৯, ব্রি ধান-৯০ উলেস্নখ যোগ্য। বর্তমানে ক্ষেতের যে অবস্থা তাতে আমন চাষিসহ সংশ্লিষ্টরা বাম্পার ফলনের আশা করছেন।
উপজেলা পোথাট্টি গ্রামের চাষি রজব আলী, আব্দুল গোফ্ফার ও নওদাপাড়া গ্রামের চাষি নজরুল ইসলাম নজু জানান, এ বছর আমন ধান রোপণের সময় কিছুটা পানির সংকট দেখা দিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে বৃষ্টি হওয়ায় এখন পর্যন্ত ক্ষেতে আর পানির সংকট হয়নি।
সেই সঙ্গে কৃষি অফিসের সার্বিক পরামর্শে রোগবালাই দমনে বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করায় আমন ক্ষেতের অবস্থা বর্তমানে খুব ভালো। ধানকাটার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত ক্ষেতের এ অবস্থা থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাজেদুল আলম বলেন, আমন ধান রোপণের পর হতে এ উপজেলায় কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে চাষিদের সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় ক্ষেতের পাশে আলোকফাঁদ স্থাপন করে ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকা শনাক্ত করে তা দমনে ও ক্ষেতে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারে চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এতে করে বর্তমানে ক্ষেতের অবস্থা ভালো। আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব না পড়লে এবার রোপা আমন ধানের উৎপাদন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।