বোয়ালমারীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট, অগ্নিসংযোগ
প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউপি চেয়ারম্যানসহ তার ভাই-ভাতিজাদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় পাশের সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের বড় খারদিয়া গ্রামের সহস্রাধিক লোকজন অংশ নেয় বলে জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ময়েনদিয়া বাজার সংলগ্ন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মাতবর ও তার ভাইয়ের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জেলার সালথা উপজেলার বড় খারদিয়া গ্রামের সহস্রাধিক লোক এ হামলায় অংশ নেয়। হামলাকারীরা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মান্নান মাতবর তার তিন ছেলে হারেজ মাত্বর, মজনু মাত্বর ও মাসুদ মাত্বর এবং ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই ইউপি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিক মাত্বরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এরপর হামলাকারীরা উপজেলার খারদিয়া গ্রামের কালাম মোলস্না, ইব্রাহিম মোলস্না, হাসেম মোলস্না, জালাল মোলস্না ও হবি মোলস্নার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। তারা সবাই চেয়ারম্যান মান্নান মাত্বরের সমর্থক।
হামলার সময় মান্নান মাত্বর পালিয়ে গেলেও হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার ছেলে মাসুদ মিয়া ও সিদ্দিক মাত্বরের ছেলে শাকিল মিয়া মারাত্মক আহত হয়। তাদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থল এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মান্নান মাত্বরের ভাই সিদ্দিক মাত্বর বলেন, পাশের সালথা উপজেলার খারদিয়া গ্রামের লোকজনের সঙ্গে পরমেশ্বরদী, ময়েনদিয়া এলাকার প্রায় দুই হাজার লোক এক হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে তাদের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মজিবুর রহমান বলেন, বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িসহ কয়েকটি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।
ফরিদপুরের নগরকান্দা-সালথা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ওই এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সালথা ও বোয়ালমারীতে পুলিশের সম্মিলিত অভিযান শুরু করা হবে।