চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও ভোলার মনপুরায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীতে এবং বঙ্গোপসাগরে ইলিশ মাছ ধরার অপরাধে ৪ জেলেকে আটক ও ৬ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অপরদিকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি এবং লক্ষ্ণীপুরের রামগতিতে বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্টে পরিচালনা করে অর্থ জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন। প্রতিনিধিদের পাঠানো বিস্তারিত খবর-
বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ধরা ও পরিবহন করায় চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে দুটি মাছ ধরার ট্রলারকে ৫ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে কোস্টগার্ড ও উপজেলা মৎস্য অফিস। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়নের ফাঁড়ির মুখ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে শেখেরখীল ফাঁড়ির মুখ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা মৎস্য অফিস। এ সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় দুটি মাছ ধরার ট্রলার জব্দ করা হয়। পরে ৩ লক্ষ ৪ হাজার টাকা জরিমানা ও ২ লক্ষ ৯২ হাজার টাকার মাছ নিলামে বিক্রি করা হয়। অভিযানে ছিলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মো. রাশিদুল হক, মেরিন ফিশারিজ অফিসার সাইফুল ইসলাম, কোস্টগার্ড খাটখালী স্টেশনের সিসি সাজেদুল ইসলাম প্রমুখ।
মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি জানান,ভোলার মনপুরায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীতে ইলিশ মাছ ধরার অপরাধে ৪ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার রাত ১ টায় উপজেলার জংলার খাল সংলগ্ন মেঘনা নদীতে জাল পাতা অবস্থায় জেলেদেরকে আটক করা হয়। এসময় একটি মাছ ধরার ট্রলার, ৫ হাজার মিটার জাল, আনুমানিক ৩ (তিন) কেজি পরিমাণে ইলিশসহ ৪ জেলেকে আটক করে উপজেলা মৎস্য বিভাগ। আটক হলো মনপুরা উপজেলার চর যতিন, ২নং হাজীর হাট ইউনিয়নের এর বাসিন্দা মো. ইসমাইল মাঝি (৩৭),মো. হাসান,(২৮) জসিম মাঝি (৩০) ও মো. রাসেল (২৫)। অভিযান শেষে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাঠান মো. সাইদুজ্জামান। এসময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার অপরাধে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান দেয়া হয়। মনপুরা উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা সৃজন সরকার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে জালসহ তাদের আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হাজির করলে বিভিন্ন মেয়াদে তাদের কে কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
রামগতি (লক্ষ্ণীপুর) প্রতিনিধি জানান, লক্ষ্ণীপুরের রামগতিতি বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্টে পরিচালনা করে অর্থ জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা সদর আলেকজান্ডার বাজার এই মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আমজাদ হোসেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামনাশীষ মজুমদার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কেপ্টেন মো. আতিক, রামগতি থানার (ওসি) মোহাম্মদ কবির হোসেন, সাংবাদিকবৃন্দ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মো. আরিফ সহ নেতৃবৃন্দ। পরে পৃথক দুটি দোকানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন তিনি। মনিটরিং কালে তাদের কাছে থেকে ২২ হাজার ৫০০ শত টাকা অর্থ জরিমানা করা হয়।
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, ফটিকছড়ির আজাদীবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ অভিযান পরিচালনা করেন এসিল্যান্ড মো. মেজবাহ উদ্দিন। এসময় দোকানে পণ্যের যথাযথ মূল্য তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করা এবং ওজন পরিমাপক যন্ত্রে কারচুপি করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী ০৯টি মামলায় ০৯ জন ব্যবসায়ীকে মোট ২৬ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন আজাদীবাজার ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, স্থানীয় জনসাধারণসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।