শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১

প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী

  ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী

ঢাকা, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রামুসহ সারাদেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা শান্তিপূর্ণভাবে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব 'শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা' উদযাপন করছে। এ উপলক্ষে বৌদ্ধ পলস্নী, জনপদ ও বিহারগুলোতে সপ্তাহব্যাপী বিবিধ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। উৎসব চলাকালীন শান্তিশৃঙ্খলা ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে সমতলের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

উলেস্নখ্য, গত ১০ অক্টোবর সেনাসদরে সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের প্রতিনিধিদল। সে সময় সেনাবাহিনীপ্রধান তিন পার্বত্য জেলায় 'শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা' ও 'কঠিন চীবরদান' উদযাপন উপলক্ষে আর্থিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে উৎসবগুলো পালন করার জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সব কার্যক্রম গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের অনুকূলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক কোটি টাকার চেক অনুদান হিসেবে প্রদান করেন।

বিশেষভাবে উলেস্নখ্য যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলার কেন্দ্রীয় বৌদ্ধবিহার, রোয়াংছড়ি উপজেলা, জ্ঞানরত্ন বৌদ্ধবিহার ও বান্দরবান সদরের পাশাপাশি খাগড়াছড়ি জেলার শালবন বৌদ্ধবিহার ও দীঘিনালা এবং রাঙামাটি জেলার স্বধর্ম বৌদ্ধবিহার, রিজার্ভ বাজার, রাঙামাটি সদর ও লংগদু উপজেলায় উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে 'শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা' পালিত হয়।

সেনাবাহিনীপ্রধানের দিকনির্দেশনায় এ উৎসব চলাকালীন শান্তিশৃঙ্খলা ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় সহায়তা করছে। এছাড়াও আসন্ন মাসব্যাপী 'কঠিন চীবর দান' অনুষ্ঠান আয়োজনে সেনাবাহিনী অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে ধর্মীয় উৎসবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিস্তারিত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আইএসপিআর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে