দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৮১ জন শিক্ষার্থী প্রতিনিধির অংশগ্রহণে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু হয়েছে। হাবিপ্রবি ছায়া জাতিসংঘ সংস্থার আয়োজনে এ সম্মেলন চলবে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-১ এ সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রফেসর ডক্টর হাসান ফুয়াদ এল তাজ (জরুরি আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত)। উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডক্টর এম. জাহাঙ্গীর কবির, প্রক্টর প্রফেসর ডক্টর মো. শামসুজ্জোহা, জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক মো. খাদেমুল ইসলাম, হাবিপ্রবি ছায়া জাতিসংঘ সংস্থার সেক্রেটারী জেনারেল সাদমান সাকিব, ডেপুটি সেক্রেটারী জেনারেল শাকিল আহমেদসহ শিক্ষার্থীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ডক্টর হাসান ফুয়াদ এল তাজ বলেন, 'আমরা জানি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শান্তির বার্তা নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। আমরাও শান্তি প্রতিষ্ঠার পক্ষে। কিন্তু যে উদ্দেশ্য নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল সেটি কি বাস্তবায়িত হচ্ছে বর্তমানে আমরা কি দেখতে পাচ্ছি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত। কিছু ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি জাতিসংঘ এসব বিষয় সমাধানে ব্যর্থ হচ্ছে। ইতোমধ্যে ইসরাইল কর্তৃক প্যালেস্টাইনে প্রায় ৪৫ হাজার মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা জাতিসংঘের কার্যকর কোনো ভূমিকা দেখতে পারিনি। আমি আশা করব, ছায়া জাতিসংঘ সংস্থা এই বিষয়গুলো হাইলাইট করবে। পাশাপাশি এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো নিয়েও আলোচনা হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা সমস্যার সমাধান করতে চাই। একটা সময় শিক্ষার্থীদের হলে সিট বরাদ্দসহ একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন বিষয়ে বৈষম্য ছিল। এই বিষয়গুলো আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।' পরিশেষে, এ ধরনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
হাবিপ্রবি ছায়া জাতিসংঘ সংস্থার আয়োজনে এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল 'বৈষম্য মোকাবিলা করার জন্য আইন প্রণয়ন, সামাজিক সমতা উন্নতি করা এবং যুব সম্পৃক্ততার মাধ্যমে প্রযুক্তিগত একীকরণকে এগিয়ে নেওয়া।'