আজমিরীগঞ্জে দীর্ঘদিনেও চালু হয়নি নৌ ফায়ার সার্ভিস

ফায়ার ফাইটাররা শুধু স্টেশন পাহারা দেন

প্রকাশ | ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
আজমিরীগঞ্জে নৌ ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম শুরু না হওয়া ও চালকের অভাবে দুটি ফায়ার বোট অব্যবহৃত থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কাজ না থাকায় চারজন ফায়ার ফাইটার শুধু স্টেশন পাহারার দায়িত্ব পালন করছেন। সরেজমিন দেখা যায়, আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার কুমারহাটি সংলগ্ন কালনী-কুশিয়ারা নদীতে নৌ ফায়ার সার্ভিসের একটি জেটি ও এর সঙ্গে দুটি ফায়ার বোট নোঙর করে রাখা। এগুলো দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত থাকায় যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে যাচ্ছে। কর্মরতরা জানান, চালক না থাকায় ফায়ার বোটগুলো ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তারা স্টেশন চালু না হওয়ায় সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। তবে নৌ ফায়ার সার্ভিসটি কত সালে স্থাপন হয়েছিল তা বলতে পারেননি। এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, দীর্ঘদিন আগে কালনী-কুশিয়ারা নদীর তীরে নৌ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা হয়। এখানে একটি জেটি ও দুইটি ফায়ার বোট এবং কয়েকজন ফাইটার রয়েছেন। তবে তাদের কোনো কার্যক্রম নেই। সরকারের কোটি টাকার ফায়ার বোটগুলো অব্যবহৃত থেকেই নষ্ট হচ্ছে। কথা হয় আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের এক কর্মকর্তার সঙ্গে। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে তিনি জানান, আজমিরীগঞ্জ-পাহাড়পুর সড়কের স্স্নইচ গেট এলাকায় গত বন্যায় ভাঙন দেখা দেয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেখানে পরিদর্শনে যাওয়ার জন্য একটি বোট চেয়েও পাননি। কারণ হিসেবে তখন বলা হয়, এগুলো বিকল অবস্থায় আছে। বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, ফায়ার ফাইটাররা ভাসমান স্টেশনে বসে অলস সময় পার করেন। প্রায় প্রতিদিনই বিকালে তারা বাজারে ঘুরতে আসেন। সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত এই স্টেশনটিতে কাজ ছাড়া জনগণের অর্থ ব্যয় হচ্ছে। নৌ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র ফায়ার ফাইটার ইমদাদুল হক মিলন জানান, ২০১৯ সালে স্থাপিত এ স্টেশনে একজন লিডার, একজন সিনিয়র ফাইটার ও দুইজন ফায়ার ফাইটার কর্মরত আছেন। তবে দুটি বোটের জন্য চালক নিয়োগ করা হয়নি। নৌ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি স্থাপন হলেও এর কার্যক্রম শুরু হয়নি। তবে নৌ-পথে যে কোনো দুর্ঘটনা হলে উদ্ধার কাজের সকল উপকরণ এখানে মজুত আছে। বর্তমানে স্টেশনে কোনো কাজ না থাকায় তারা শুধু নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন কথাটিও এ কর্মকর্তা যোগ করেন।