প্রকৃতিতে শুরু হয়েছে কার্তিক মাস। কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মিলেই চিরায়ত হেমন্তকাল। শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে ধীর পায়ে প্রকৃতিতে আসে হেমন্ত। আর হেমন্তের শুরুতেই খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে সকালের ঘন কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। দিনে গরম থাকলেও রাতে ও ভোরে হালকা শীত অনুভব হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালটা ছিল মানিকছড়ির জনপদের মানুষের জন্য কিছুটা ভিন্ন রকম। ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত দেখা মিলেছে কুয়াশার। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে গ্রামাঞ্চলের সড়ক, মেঠোপথ ও কৃষি প্রান্তর। সকালে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, চারদিক কুয়াশার কারণে এক অন্য রকম প্রাকৃতিক পরিবেশ বিরাজ করছে। কুয়াশামাখা মনোরম পরিবেশ উপভোগ করে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন ভোরে ফজরের নামাজের মুসলিস্ন, হাঁটতে বের হওয়া মানুষ ও কাজে বের হওয়া শ্রমিকরা।
স্থানীয়রা বলছেন, দিনে গরম আর শেষ রাতে অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। শেষ রাতে কাঁথা বা পাতলা কম্বল জড়াতে হচ্ছে শরীরে। তবে ঘন কুয়াশা এবং তীব্র শীত আসতে আরও কিছুদিন দেরি আছে।
উপজেলা সদরের কেপিএম এলাকার মো. তাজুল ইসলাম বলেন, 'হঠাৎ করেই আজকে সকালে কুয়াশায় চারপাশ ঢাকা পড়ে গেছে। নামাজ শেষ করে হাঁটতে বের হয়েছি। হাঁটতে খুব ভালো লাগছে। আজকে সকালের ঘন কুয়াশা বলে দেয় শীত আসছে।'
হাঁটতে বের হওয়া পলস্নী চিকিৎসক অমর কান্তি দত্ত বলেন, 'প্রায় প্রতিদিন সকালে হাঁটতে বের হই। তবে আজকের সকালটাকে একটু অন্য রকম মনে হলো। চারদিকের সাদা কুয়াশা দেখে মনে হচ্ছে শীতের দিন চলে এসেছে। তবে শীত নেই। প্রায় পুরো রাতই ঘরে ফ্যান চালাতে হয়েছে। দিনের বেলায় খুবই গরম।'
ভোরে হাটতে বের হওয়া সাংবাদিক আবদুল মান্নান বলেন, এ সময়টাতে মৌসুমী বায়ু বিদায় নিচ্ছে। এ জন্যই হঠাৎ করে চারদিকে ঘন কুয়াশা দেখা দিয়েছে। এটাকে শীতের আগমনী বার্তা বলা যেতে পারে। তবে নভেম্বর মাস থেকে একটু শীত অনুভূত হবে।