নেত্রকোনায় সাম্প্রতিক বন্যায় ৫৭১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোনা
গত এক সপ্তাহের ভারী বর্ষণ ও ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় নেত্রকোনায় আনুমানিক ৫৭১ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সারওয়ার জাহান জানান, গত এক সপ্তাহের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ভারতীয় সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, পূর্বধলা, নেত্রকোনা সদর ও বারহাট্টা উপজেলার ২৭টি ইউনিয়নে ফসল, ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, অতি ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় নেত্রকোনা জেলার ৫ উপজেলায় ২৪ হাজার ৬৬৭ হেক্টর জমির রোপা আমন এবং ১৭৭ হেক্টর জমির শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যার আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৩১৩ কোটি টাকা।
নেত্রকোনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, নেত্রকোনা এলজিইডি'র আওতাধীন ৫ হাজার ৯৫৩ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ১ হাজার ৬৩৮ কিলোমিটার পিচঢালা সড়ক। বাকিগুলো সিসি, আরসিসি, মেকাডম, কার্পেটিং ও কাঁচা সড়ক। সাম্প্রতিক সময়ের বন্যায় নেত্রকোনা ২০০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার আনুমানিক আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৫০ কোটি টাকা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহ্জাহান কবীর জানান, বন্যায় নেত্রকোনার ১ হাজার ৭৩০টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। যার আর্থিক মূল্য আনুমানিক ৭ কোটি ৮৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস বলেন, 'আমি সমন্বয় সভায় সব বিভাগকে সরেজমিন গিয়ে বন্যায় প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির চিত্র নিরূপণের নির্দেশ দিয়েছি। প্রকৃত চিত্র হাতে আসলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও মৎস্য চাষিদের পুনর্বাসন করব এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দ্রম্নত মেরামত করে স্বাভাবিক যানবাহন চলাচলের উপযোগী করব। তার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অর্থের বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হবে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলে দ্রম্নত তা বাস্তবায়ন করা হবে।