ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় বাড়ির আঙ্গিনা ও পরিত্যক্ত জমিতে নিরাপদ সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছেন অধিকাংশ নারী। নানা ধরনের সবজি ক্ষেত ও ফলজ বৃক্ষ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। এতে পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন এবং পরিবারের অসচ্ছলতা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন এখানকার নারীরা।
উপজেলার আছলামপুর, ওমরপুর, আমিনাবাদ ও ওসমানগঞ্জ ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, নারীরা তাদের গবাদি পশুর বর্জ্য দিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট জৈব বালাইনাশক সার নিজেরা তৈরি করেন। সেই সার ব্যবহার করে উৎপাদন করছেন বিষমুক্ত সবজি।
হাজারীগঞ্জ এলাকার নারী মিনারা বেগম বলেন, পরিবারের আর্থিক সংকট মোকাবিলা করতে প্রথমে রেডিও মেঘনার কৃষি অনুষ্ঠান শুনে এবং কৃষি অফিসের পরামর্শে বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষের উৎসাহ তৈরি হয়। ঘরের কাজের পাশাপাশি বাড়ির আঙ্গিনায় শুরুতে দেড় একর জমিতে জৈব সার দিয়ে নিরাপদ বেগুন, করলা, লাউসহ বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি চাষ শুরু করেন।
অন্যদিকে রুনা বেগম বলেন, বিষমুক্ত সবজি চাষ করে নিজের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন প্রায় ৪০ হাজার টাকা। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে নিরাপদ সবজি চাষ করবেন বলেও জানান এসব নারী সবজি চাষিরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান জানান, এখানকার নারীদের কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিকল্প চাষাবাদ হিসেবে পরিত্যক্ত জমিতে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মেটাতে বিষমুক্ত সবজি চাষে জৈবসারের ব্যবহার করাসহ নানা সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এ বছর ৮২৫ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হয়েছে, যার বেশির ভাগই চাষ হয়েছে পারিবারিক নিরাপদ সবজি।