সরবরাহ কমের অজুহাতে নওগাঁয় আবারো বেড়েছে মুরগির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে ১৫-২০ টাকা বেড়েছে। তবে ১ মাসে বেড়েছে কেজিতে প্রায় ৪০ টাকা। দাম বাড়ায় কমেছে বেচাকেনা। মূল্য বৃদ্ধিতে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে জরিমানা করা হলেও বাজারে এর কোনোই সুফল মিলছে না।
ব্যবসায়িরা বলছেন- খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামারিরা উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। প্রায় ১ মাস থেকে বাজারে মুরগির সরবরাহ কমে আসায় দাম বেড়েছে। কমেছে বিক্রি। এতে করে তাদের লাভও কমে এসেছে। অপরদিকে, ডিমের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে যৌক্তিক দামে মিলছে না ডিম। প্রতি হালি ডিম খুরচাতে ৫৪ টাকা এবং পাইকারিতে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গিয়ে দাম শুনে হতভম্ব হয়ে পড়ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। পরিমাণেও কম কিনতে হচ্ছে তাদের।
নওগাঁ পৌর মুরগি বাজার সূত্রে জানা যায়, কেজিতে ১৫-২০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকা, বিবি-৩ ২৪০ টাকা, প্যারিস ২৭০ টাকা, সোনালী ও লাল ২৮০ টাকা, দেশি ৪৫০ টাকা এবং হাঁস ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বিদু্যৎ অফিসে চাকরি করা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন- সবার পক্ষে গরু বা খাসির মাংস কিনে খাওয়া সম্ভব না। দাম কম থাকায় নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা মুরগির মাংসে আমিষের চাহিদা পূরণ করে। কয়েকদিন আগে বিবি-৩ মুরগির দাম কিছুটা কম ছিল। এখন ২৪০ টাকা কেজি কিনতে হচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় সবকিছুর বাজারই ঊর্ধ্বগতি। সবার জন্যই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
মুরগি ব্যবসায়ী নাহিদ সুলতান বলেন- মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় বেচাকেনা কমে গেছে। আগে যেখানে দিনে ১০০-১৫০ পিস মুরগি বিক্রি হতো, সেখানে দিনে ৫০-৬০ পিস বিক্রি হচ্ছে। আগে বেশি বিক্রি হওয়ায় দিনে ৫০০-৬০০ টাকা লাভ থাকতো। এখন কম বিক্রি হওয়ায় লাভও কমে গেছে। যারা মুরগি পরিষ্কার করে তাদের কাজ কমে যাওয়ায় আয়ও কমেছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় আসলে কেউ ভালো নেই। মুরগি ব্যবসায়ী আকাশ হোসেন বলেন- জেলায় মুরগির খামার খুবই কম। বগুড়াসহ আশপাশের জেলা থেকে পাইকাররা এখানে মুরগি নিয়ে আসে। তাদের কাছ থেকে মুরগি কিনে আমরা কিছুটা লাভে বিক্রি করি। ফিড এর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসায়িরা খামারে মুরগির উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। বাজারের সরবরাহ কমে আসায় দাম কিছুটা বেড়েছে।