প্রায় চার বছর ধরে ধসে পড়ে আছে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের পুটিপুশি ব্রিজ।
এখন পর্যন্ত ব্রিজটি মেরামত না করায় প্রতিনিয়তই সীমাহীন ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছেন এলাকার মানুষজন। ২০২০ সালের ২৯ জুলাই বন্যার পানির স্রোতে পুটিপুশি ব্রিজটি সম্পূর্ণভাবে ধসে যায়। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত এটি আর মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, পুটিপুশি ব্রিজটি সুরমা নদীর পাড় সংলগ্ন নূরপুর সিএনজি স্টেশনের সঙ্গে আমবাড়িবাজার ও সুনামগঞ্জ জেলা সদরের সংযোগ স্থাপন করেছে। এই সড়ক পথ দিয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা, বোগলাবাজার, লক্ষ্ণীপুর ও মান্নারগাঁও ইউনিয়নের একাংশের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ জেলা সদরে আসা যাওয়া করে থাকে।
সরেজমিন গিয়ে ধসে পড়া ব্রিজের উপর নির্মিত নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সিএনজি চালিত যানবাহনসহ শিক্ষার্থী, নারী, শিশু, বয়োবৃদ্ধ ও সাধারণ পথচারীদের পারাপার হতে দেখা গেছে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ নির্মাণ কাজের সময় ব্রিজটি টেকসইভাবে করা হয়নি এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের যথাযথ তদারকির অভাব ছিল। যে কারণে নির্মাণের অল্পদিনের মধ্যেই সামান্য বন্যার পানির স্রোতে ব্রিজটি ধসে পড়ে যায়। পথচারী মাসুক নাইম বলেন, 'এই ব্রিজ মেরামত না হওয়ায় এদিক দিয়ে যাতায়াত করা যে কত কষ্ট তা বলে বোঝানো যাবে না। সবসময় ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়।'
স্থানীয় বাসিন্দা রিটন দাস জানান, 'ব্রিজটি ধসে পড়ে আছে চার বছর ধরে অথচ দেখার কেউ নেই!'
নূরপুর সিএনজি স্টেশনের সিএনজি চালক লিটন দাস ও রাসেল মিয়া বলেন, 'ব্রিজ ধসে পড়ার পর থেকে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে সিএনজি পারাপার করছি।
কখন জানি কোন দুর্ঘটনা ঘটে সবসময় আতঙ্কে থাকি। আমাদের এই দুর্দশা দেখার কেউ নেই। এই ব্রিজটি দ্রম্নত নির্মাণের দাবি জানাই।'
দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আম্বিয়া আহমদ জানান, 'ধসে পড়া পুটিপুশি ব্রিজের নির্মাণ কাজ খুব শিঘ্রই শুরু হবে।
ইতোমধ্যে ব্রিজটির টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। পিসি গার্ডার সংবলিত এই ব্রিজের বরাদ্দ ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ লাখ টাকা।'