গাজীপুরের টঙ্গী সিরাজউদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে মুজিবুর রহমানের নিয়োগ প্রক্রিয়া বৈধ নয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০১৩ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক পরিদর্শন ও নিরীক্ষায় মুজিবুর রহমানের সহকারী শিক্ষক পদে এবং পরবর্তীতে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে অবৈধভাবে নিয়োগের প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে সরকারি ওই প্রতিবেদনে মুজিবুর রহমানের গৃহীত সমুদয় সরকারি বেতন ভাতা ফেরতযোগ্য বলেও সুপারিশ করা হয়। যার স্মারক নং- ডিআইএ/গাজীপুর/২২১২-এস/ঢাকা : ২৪৯৪/৪, তারিখ -১৯/০২/২০১৩ ইং।
এদিকে মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে এবং দাপট খাটিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে বহাল রয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এবার একই প্রক্রিয়ায় অধ্যক্ষ পদে আসীন হওয়ারও চেষ্টা করছেন। আওয়ামী লীগের আমলে নিজে ৫৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক পরিচয়ে অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া বৈধ বানিয়ে বহাল ছিলেন। বর্তমানে নিজের ভাই একজন বিএনপি নেতা বলে তার দাপট খাটিয়ে অননুমোদিতভাবে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান।
অভিযোগ রয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে বহিরাগত কথিত ছাত্রদের দিয়ে অযৌক্তিক অভিযোগে গত ১৯ আগস্ট অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমানকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির পেশাদার শিক্ষক ও অভিভাবকরা জানান, তৎকালীন সময়ে অডিট কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে এবং স্থানীয় এমপিকে ম্যানেজ করে অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া ধামাচাপা দিয়েছেন। নিজের নিয়োগ প্রক্রিয়াই অবৈধ, অথচ রহস্যজনক কারণে অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমানকে কথিত সাবেক ছাত্রদের দিয়ে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করে তদস্থলে আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান দায়িত্ব নেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সহকারী প্রধান শিক্ষক মুজিবর রহমান বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অধ্যক্ষকে অপসারণে আমার কোন ভূমিকা ছিল না।'
এ ব্যাপারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া বৈধ নয় বিষয়টি সত্যি হলে অবশ্যই তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।