যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ও জামালপুর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ হুমায়ূন কবিরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে শুনানি করে। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিষয়ে বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরোবিয়া খানম তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন হুমায়ূন কবিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ৬ অক্টোবর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান তাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রম্নয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব হিসেবে নিয়োগ পান মো. আবুল কালাম আজাদ। এর আগে তিনি একই কার্যালয়ের সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে আবুল কালাম আজাদ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ও বিদু্যৎ বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকায় মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। এ মহাসমাবেশ পন্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। উভয় দলের নেতাকর্মী ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।