'আমি আর নির্বাচন করব না। আমি আপনাদের সম্মুখে আমার ছেলেকে নিয়ে এসেছি। চট্টগ্রাম-১৪ আসন আমার নির্বাচনী এলাকা। এ আসন থেকে আপনারা আমাকে বারবার নির্বাচিত করে সংসদে পাঠিয়েছেন। এবার আমার ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুককে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠাবেন? সে আমার সকল অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করবে। তাকে আমি আপনাদের সেবার জন্য দীর্ঘ ২০ বছর সময় নিয়ে পরীক্ষিত করে গড়ে তুলেছি। সে আপনাদের কখনো নিরাশ করবে না। আপনাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।'
শনিবার রাত ১১টায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়নের ফকিরখীল শ্রী শ্রী গোবিন্দ ধাম প্রাঙ্গণ পূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম।
এ সময় তিনি আরও বলেন, সঠিক সময়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করা উত্তম। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সুখে-দুঃখে আপনাদের পাশে থাকার দায়িত্ব আমি আমার ছেলের উপর অর্পণ করলাম। আপনারাও আমার ছেলেকে দেখে রাখবেন। দীর্ঘ ১৫ বছর আমি এই এলাকায় আসিনি। আমি যদি আপনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসতাম। তাহলে আমার সঙ্গে যেসব নেতাকর্মীরা আসত তাদেরকে তৎকালীন স্বৈরাচার হাসিনা সরকার গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠাত। আমি আমার নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলতে চাইনি বলে আপনাদের মাঝে আসা থেকে বিরত থেকেছি।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা পরিবারের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের কোনো সম্পর্ক নেই। মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ মুজিব পাকিস্তানে ছিল। আর শেখ হাসিনা ও তার পরিবার ছিল তৎকালীন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আশ্রয়ে। সে সময় যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি আমরা আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার গল্প শোনায় আওয়ামী লীগ। এগুলো কি মানা যায়? শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি। সর্বপ্রথম স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য আমাকে বলা হয়েছিল। তখন মেজর জিয়াউর রহমান আমার সিনিয়র ছিলেন। আমি তাকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি পাঠ করার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। তার প্রমাণ আমার কাছে এখনো আছে। আপনারা চাইলে সেটি দেখতে পারেন। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভু্যত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার হাসিনার একটি কলঙ্কিত অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে। এমতাবস্থায় কেউ যদি আপনাদের এখানে এসে সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করে তাহলে তাদের আটক করে আইনের হাতে তুলে দেবেন। যেকোনো প্রয়োজনে আমি, আমার ছেলে ও এলডিপি'র নেতাকর্মীরা আপনাদের পাশে থাকব।